এই পরাজয় হতাশাজনক: তামিম ইকবাল

|

ওয়ানডে ক্রিকেটে উড়তে থাকা বাংলাদেশকে যেন টেনে মাটিতে নামালো জিম্বাবুয়ে। সিরিজের এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে দলটি।

খেলাশেষে টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবালের কণ্ঠে হতাশাই ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, এই পরাজয় আমাদের জন্য হতাশাজনক। প্রথম ওয়ানডেতে আমাদের আরও ২০ রান বেশি তোলা উচিত ছিল। আজও আমরা কিছু রান বেশি পেতে পারতাম। মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ বেশ ভালো ব্যাট করছিল।

জয়ের জন্য জিম্বাবুয়েকে সর্বোচ্চ কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেন, এই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে তাদের সবটুকু দিয়ে খেলেছে। তারা দুর্দান্ত খেলেছে।

এর আগে, এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে জিম্বাবুয়ে। ৪৯ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে যখন ধুঁকছিল জিম্বাবুয়ে সেখান থেকেই টেনে তুলেন সিকান্দার রাজা ও রেজিস চাকাভা। তাদের জুটির ভিত্তিকেই শক্তিতে পরিণত করে ১৫ বল হাতে রেখেই হেসে খেলে ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে।

সিকান্দার রাজা ও রেজিস চাকাভার জুটিতে ঘুরে যায় খেলার মোড়। শেষ পর্যন্ত ১২৭ বলে ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন সিকান্দার রাজা। আর টনি মুনিয়োঙ্গার ১৬ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংসে সিরিজ জিতে নেয় জিম্বাবুয়ে।

২৯১ রান বাঁচানোর জন্য শুরু যেমন দরকার ছিল ঠিক তেমনটি আসে হাসান মাহমুদের হাত ধরে। এই পেসারের জোড়া উইকেট শিকারের সাথে মেহেদী মিরাজ ও তাইজুল ইসলামও যোগ দিলে ম্যাচের লাগাম চলে আসে টাইগারদের হাতে। ৪৯ রানে ৪ উইকেটের পতনের সময় ওভার ছিল ১৫। দ্রুত ম্যাচ মুঠোয় পুরে ফেলার সময়কে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তামিম বাহিনী। জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রায় পুরোটা জুড়েই যে সিকান্দার রাজার কাছে মার খেয়ে আসছে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট, সেই ইনফর্ম ব্যাটারকেই রানআউট করার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন মেহেদী মিরাজ। আর এরপর থেকেই যেন আরও হাত খুলে খেলতে থাকেন দুই ব্যাটার।

এর আগে, ব্যাটিং ইউনিটের সবারই ছোট-বড় অবদানে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ২৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়েছে টাইগাররা; যাতে ছিল মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ইকবালের অর্ধশতক। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ৮০, তামিম ইকবাল ৫০, আফিফ ৪১ ও নাজমুল শান্ত করেছেন ৩৮ রান।

ব্যাটে বলে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যান অফ দ্য মাচের পুরস্কার জিতেন সিকান্দার রাজা।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply