জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির দুদিন না যেতেই অস্থির চালের বাজার। উত্তরবঙ্গ থেকে চট্টগ্রামে আনার পরিবহন খরচ গাড়িপ্রতি ৬/৭ হাজার টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে, যার প্রভাবে দাম ঊর্ধ্বমুখী। চট্টগ্রামে চালের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার পাহাড়তলীতে চিনিগুঁড়া চালের দাম বস্তাপ্রতি রেকর্ড ৫,৯০০ টাকা, গরিবের মোটা চাল ঠেকেছে ২১০০ টাকায়।
পরিবহনে বাড়তি খরচের প্রভাব গিয়ে পড়ছে ভোক্তাদের ঘাড়ে। গেলো দুদিনে চালের দাম বস্তাপ্রতি বেড়েছে ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত। বাড়তি ভাড়ার প্রভাব তো আছেই, পাশাপাশি এ সুযোগে কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগ উঠেছে মিলারদের বিরুদ্ধে।
২০০ টাকা বেড়ে গরীবের মোটা চালের বস্তা এখন ২১০০ টাকা। একইভাবে কাটারি নাজিরশাইল ও জিরাশাইলের দামও ঊর্ধ্বমুখী। রেকর্ড ছাড়িয়ে চিনিগুড়া চালের দাম বস্তাপ্রতি বেড়েছে ৯০০ টাকা। খুচরা বাজারে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। চাল কিনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম উদ্দিন বলেন, সরকার যদি সাধারণ যেকাউকে চাল আমদানি করার অনুমতি দিতো তাহলে বাজার স্থিতিশীল হয়ে যেত এবং সাধারণ মানুষের আয়ত্তের ভেতরে থাকতো।
সংকট কাটাতে সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিলেও আমদানির পরিমাণ একেবারেই কম। বাজারেও প্রভাব নেই। এক্ষেত্রেও অসাধু চক্রের কারসাজিকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা।
এটিএম/
Leave a reply