সামরিক মহড়ায় বেইজিং দেখালো, দখল না করেও তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণে সক্ষম চীন

|

ছবি: সংগৃহীত

চীনের সামরিক মহড়া দেখিয়েছে যে, তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আক্রমণ করার দরকার নেই বেইজিংয়ের। বরং, বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে শ্বাসরোধ করতে পারে চীন। এমনটিই বলছেন চীনা এবং আমেরিকান বিশ্লেষকরা। খবর সিএনএনের।

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) পরিচালিত এই সামরিক মহড়াটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট)। ছয়টি অঞ্চলের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে চালানো হয় এই সামরিক মহড়া; যেগুলো মূলত ঘিরে রেখেছে তাইওয়ানকে। চীনের সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে বলে অঞ্চলটিতে বেসামরিক জাহাজ এবং বিমানের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

পিএলএ সামরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেং ঝিয়াঙগিং জানান, সামরিক মহড়া পরিচালনা করার জন্য ছয়টি অঞ্চল এমনভাবে বেছে নেয়া হয়েছিল যাতে চীন দেখাতে পারে কীভাবে তারা তাইওয়ানের বন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনে স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে বিচ্ছিন করে ফেলতে পারে। সেই সাথে, তাইওয়ানের সাহায্যে আসতে পারে এমন বিদেশি বাহিনীর প্রবেশাধিকারও ছিন্ন করতে সক্ষম বেইজিং।

পিএলএ ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মেং জিয়াংকিং বলেন, চীন কীভাবে তাইওয়ানের বন্দরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে, তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় আক্রমণ করতে পারে এবং তাইওয়ানের সাহায্যে আসতে পারে এমন বিদেশী বাহিনীর প্রবেশাধিকার ছিন্ন করতে পারে তা দেখানোর জন্য ছয়টি এলাকা বেছে নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশন সিসিটিভির সাথে একটি সাক্ষাৎকারে মেং বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ফাঁসের গিঁট দিয়ে লাইনের মতো করে ছয়টি অঞ্চলকে একটি লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

মেং উল্লেখ করেন, চীনের উত্তরাঞ্চলীয় মহড়া সফলভাবে তাইওয়ানকে ওকিনাওয়া থেকে আলাদা করে দিয়েছে; যে দ্বীপে জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়েরই যথেষ্ট পরিমাণে সামরিক স্থাপনা রয়েছে। আর দক্ষিণাঞ্চলের মহড়ায় পিএলএ দেখিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ এবং প্রস্থানের একমাত্র পথ বাশি চ্যানেলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বেইজিং। মেং আরও যোগ করে বলেন, পূর্বাঞ্চলে চীনের বাহিনী দেখিয়েছে যে, বেইজিংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিদেশি যুদ্ধজাহাজগুলো তাইওয়ানের জলসীমা থেকে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে।

প্রসঙ্গত, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে বিবেচনা করে তার অঞ্চল হিসেবে। যদিও চীন কখনোই দেশটিকে নিয়ন্ত্রণ করেনি। মূল ভূখণ্ডের সাথে তাইওয়ানকে একত্রিত করা চীনা নীতির একটি ভিত্তি এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দ্বীপটিকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে শক্তি প্রয়োগের কথা অস্বীকার করেননি।

আরও পড়ুন: তাইওয়ান চীনের ভূখণ্ড, যুক্তরাষ্ট্রের অংশ নয়: চীন

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply