ডেপ-হার্ডের মামলায় নতুন মোড়

|

ইন্টারনেট থেকে নেয়া ছবি।

মাস কয়েক আগেই সাবেক স্ত্রী আম্বার হার্ডের সঙ্গে মামলায় জিতেছেন হলিউড তারকা জনি ডেপ। তার বিরুদ্ধে আনা স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়নি। বহুল চর্চিত সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও অভিনেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন তার সাবেক প্রেমিকা। তবে তিনি আম্বার হার্ড নন। আরেক অভিনেত্রী অ্যালেন বারকিন।

দুই মাস আগেই গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় অ্যাম্বার হার্ড পরাজিত হয়েছেন, জিতে গেছেন জনি ডেপ। ইতোমধ্যে ১১৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও দিয়েছেন অ্যাম্বার। সে ফলাফল মনঃপূত না হওয়ায় অ্যাম্বারের অনুরাগীরা নিজেদের খরচে মামলার ফাইল আবারও খুলে দেখার আবেদন জানালে পুরো ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। দেখা যায় সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য দিয়েছিলেন জনি।

এদিকে সেই মামলায় আদালত মতামত জানিয়ে দিলেও এবার প্রকাশ্যে আসছে অন্য তথ্য। আদালতে জনির বিপক্ষে পেশ করা অধিকাংশ নথিই নাকি খুলে দেখা হয়নি। এতোদিন পর জানা গেল, অ্যাম্বার একা নন, জনির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তার সাবেক প্রেমিকা অ্যালেন বারকিনও।

ছয় হাজার পাতার ওই নথি খুলে জানা গেছে, অ্যালেন অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, প্রথমবার ঘনিষ্ঠতার আগে জনি তাকে কোয়ালুড নামক মাদক খাওয়ান। যা উদ্দীপক ও সম্মোহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। সত্তরের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে মানসিক চাপ ও উদ্বিগ্নতা দূর করতে ওষুধ হিসেবে কোয়ালুডের নাম প্রেসক্রিপশনে লিখতেন চিকিৎসকেরা। পরে আশির দশকে এটিকে নিষিদ্ধ করা হয়।

বারকিন আরও জানান, নব্বইয়ের দশকে জনির সঙ্গে কয়েক মাস সম্পর্কে ছিলেন তিনি। তবে সেই সম্পর্ক বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি জনির অত্যাচারের কারণেই।

এ প্রসঙ্গে অ্যালেন বলেন, জনি ছিলো খুবই ঈর্ষাপরায়ণ। তার অধিকারবোধ খুবই তীব্র। এজন্য অশান্তি লেগেই থাকতো। একবার আমার পিঠে শুধু একটা আচড়ের দাগ দেখতে পেয়ে মারমুখী হয়ে উঠেছিলো জনি। সে ভেবেছিলো, আমি অন্য কারো সাথে সম্পর্কে আছি।

এছাড়া জনির মদ্যপ স্বভাবের কথাও জানান এ অভিনেত্রী। তার অভিযোগ সারাক্ষণ রেড ওয়াইন পান করতেন জনি ডেপ। অসংলগ্ন আচরণ করতেন। লাস ভেগাসের একটি হোটেলে একবার নাকি অ্যালেনকে মদের বোতল ছুড়ে মারতেও গিয়েছিলেন জনি।

অ্যালেন আরও বলেন, জনি এমন একজন মানুষ যে পাশে থাকলে সব সময়ই সহিংসতার পরিবেশ তৈরি হয়। সে সারাক্ষণ চিৎকার করে, শারীরিকভাবে না হলেও মৌখিকভাবে হেনস্তা করে।

শুধু তাই নয়, পেশার জগতেও অনাচার করেছেন অভিনেতা, এমনটাই অভিযোগ অ্যালেনের। তিন দশক সেরা অভিনেতার তকমা গায়ে নিয়েও ভরাডুবি গেছে তার। জনির প্রাক্তন ম্যানেজার যশ ম্যান্ডেল জানান, ২০১৫ সালে অভিনেতার আর্থিক অনটন চরমে উঠেছিল। অ্যাম্বারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিও তারপরেই।

আদালতে অ্যাম্বার জানিয়েছিলেন, মধুচন্দ্রিমাতেই তাকে মেরে ফেলতে যাচ্ছিলেন জনি। তিক্ততার সূত্রপাত সেই থেকেই। শেষমেশ ২০১৭-তে বিচ্ছেদ। তারপরও কাদা ছোঁড়াছুড়ি শেষ হয়নি। ৫০ লক্ষ ডলার খরচ করে মানহানির মামলা ঠুকেছিলেন জনি।

আদালতের জুরি সদস্যরা জানান, অ্যাম্বার গার্হস্থ্য হিংসার যে অভিযোগ এনেছিলেন তা মিথ্যা ও অবমাননাকর। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আবার অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। অ্যাম্বার কি তাহলে আবারও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনুরাগীদের মনে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply