স্টাফ করেসপনডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
হবিগঞ্জ থেকে ছয় মাস আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন মুখলেছ মিয়া (৪৪)। গত ছয় মাস অনেক খুঁজেও সন্ধান তার পায়নি তার পরিবার। অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বেওয়ারিশ লাশের কবরস্থান মেড্ডায় গিয়ে তার সন্ধান পেয়েছেন স্বজনরা।
মুখলেছ মিয়ার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জের আজমেরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের কন্যাজুরি গ্রামের বাসিন্দা মুখলেছ মিয়া ছয় মাস আগে বাড়ি ছেড়ে কাজের সন্ধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর আর তাকে খুঁজে পাননি তার পরিবারের সদস্যরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেওয়ারিশ দাফনের একমাত্র প্রতিষ্ঠান ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী আজাহার উদ্দিন জানান, গত রোববার (৭ আগস্ট) মুখলেছের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের নির্দেশনায় বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছিল বাতিঘর। নিখোঁজের ৬ মাস পর বাতিঘরের বেওয়ারিশ মরদেহের কবরস্থান (মেড্ডা-তিতাসপাড়) গিয়ে মুখলেছ মিয়ার পরিচয় জানতে পেরে ও তার কবর দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্বজনরা। সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে মুখলেছের স্ত্রী আছিয়া খাতুন, তার মেয়ে ইয়াসমিন ও ছোটভাই জুলহাসকে নিয়ে ওই কবরস্থানে গিয়ে মুখলেছের কবরটি দেখে যান ও জিয়ারত করেন।
মুখলেছের স্ত্রী আছিয়া খাতুন বলেন, এক ব্যক্তি জানায় আশুগঞ্জে একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ খবরে আমরা প্রথমে আশুগঞ্জে আসি। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, লাশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার করা লাশের ছবি দেখালে তখন আমার স্বামীকে শনাক্ত করতে পারি। আমার ভাগ্য খারাপ, তাই মৃত্যুর সময়ও স্বামীর মুখটি দেখতে পারিনি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) সালাউদ্দিন খাঁন নোমান জানান, শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মুখলেছের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিচয় না পাওয়ায় মরদেহের চেহারা ও শরীরের ছবি তুলে রেখে বাতিঘরের সদস্যরা লাশটি দাফন করেন। সোমবার ওই অজ্ঞাত লাশের পরিবারের সদস্যরা এসে ছবি দেখে সেটি মুখলেছের বলে শনাক্ত করেন।
/এসএইচ
Leave a reply