সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:
নাটোর জেলা পরিষদের অর্থায়নে বরাদ্দকৃত এক লাখ টাকা খরচে ডাস্টবিন নির্মাণে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ডাস্টবিন নির্মাণ না করেই লাখ টাকা তুলে নিয়েছে ঠিকাদার। বিষয়টি নজরে এলে পুরোনো ডাস্টবিন মেরামত করা শুরু করে সেই ঠিকাদার। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে কাজ বন্ধ করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ঠিকাদার নায়মুল সরকার বিলাশ।
নাটোর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রানা হোসেন জানান, জেলা পরিষদ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে একটি ডাস্টবিন নির্মাণে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। গত মে মাসে কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে বিল তুলে নেয় ঠিকাদার। সম্প্রতি ডাস্টবিনের অস্তিত্ব না মেলায় বিষয়টি আলোচনায় আসে। এতে ঠিকাদার নায়মুল সরকার বিলাশ গতকাল থেকে তড়িঘড়ি করে শহরের হুগোলবাড়িয়ায় অবস্থিত পৌরসভার একটি পুরনো ডাস্টবিনে টাইলস লাগিয়ে কাজ করতে থাকে। নতুন ডাস্টবিনের বরাদ্দের লাখ টাকা উত্তোলন করে পুরনো ডাস্টবিনে কাজ করায় স্থানীয়রা তাতে বাধা দেয়। এ বিষয়ে ঠিকাদার বিলাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে সেখান থেকে সটকে পড়েন ঐ ঠিকাদার।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হামিদ জানান, পুরোনো ডাস্টবিনে হাজার পাঁচেক টাকার টাইলস বসাচ্ছিল ঠিকাদার। তাতেও শুধু বালু দিয়ে কাজ সারছিল। কোনো সিমেন্ট নাই তাতে। টাইলস লাগানোর পরপরই খুলে যাচ্ছিল। ঠিকাদারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলেছে, সে নাকি জানে না কীভাবে কাজ হচ্ছে। ঠিকাদারই যদি না জানে তাহলে জানবে কে? আমাদের স্থানীয় কমিশনার রানাকে ডেকেছি। কমিশনার ওনার কাছে কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমতা আমতা করে ঠিকাদার বিলাশ মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়েছে।
নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি জানান, পৌরসবার ডাস্টবিনে কাজ করতে হলে পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। কাজ না করেই টাকা তুলে নেবার ঘটনাটি দুঃখজনক। অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে জানান তিনি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাইদুল ইসলাম।
/এডব্লিউ
Leave a reply