রোদে-গরমে অতিষ্ট মানুষ; শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে

|

পরিচ্ছন্ন আকাশ ডিঙ্গিয়ে রোদের তীব্রতা কমছে না নগরীতে। কিন্তু তীব্রতা যতই বাড়ুক থেমে নেই জীবন। তাতে শরীরের জ্বালার কারণ বুঝতে পারেন বড়রা। তাই কোনোরকমে বাঁচতে মৌসুমী ফলে স্বস্তি খুঁজেন কেউ-কেউ। তবে কারণ না বুঝলেও ঘামে-গরমে ছোটদের অস্বস্তি চরমে। এই সুযোগে হানা দিচ্ছে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া। আর অসুস্থ শিশু নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন অবিভাবকরা।

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ইতোমধ্যে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসকরা বলছেন, এই গরমে শিশুদের বেশিমাত্রায় পানীয় পান করানো উচিৎ। উষ্ণ আবহাওয়া রোগ ছড়ানোর সহায়ক। বাড়াতে পারে শিশুদের নিউমোনিয়াসহ নানান রোগ।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সারাবন তাহুরা বলেন, ওদের ডিহাইড্রেশনটা খুব সহজে হয়ে যায়। এ সময় ডিহাইড্রেশন হলে প্রথম লক্ষণ হচ্ছে বাচ্চাদের মেজাজ অস্থির হয়ে যায়। কান্না করবে। অনেক সময় বাবা-মা বুঝতে পারেন না, বাচ্চা কিসের জন্য কান্না করছে।

গেলো কয়েকদিন ধরে শিশু হাসপাতালে রোগীর উপচে পড়া ভীড়। হঠাৎ জ্বর , ঠান্ডাসহ হরেক উপসর্গ। চিকিৎসকদের মতে, এই সময়ে শিশুর অসুস্থতা নিয়ে ভয় নয় বরং সজাগ থাকতে হবে বয়স্কদের।

মিডফোর্ড হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. কামরুজ্জামান বলেন, যেহেতু এরা বলতে পারে না সেহেতু আমাদের সজাগ থাকতে হবে। দ্বিতীয় হচ্ছে, বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় হাত ধুয়ে দিতে হবে। ওদের শুষ্ক রাখতে হবে। নিয়মিত গোসল করাতে হবে।

ডা. সারাবন তাহুরা বলেন, এই গরমে কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যেতে পারে। ব্রংকিওলাইটিসও হতে পারে। যাদের ঘাম থেকে এলার্জি হয়, তাদের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে যেতে পারে। ডিহাইড্রেশনের বিষয় তো আছে। অতিরিক্ত ঘাম হলে পানির পরিমাণটা বাড়িয়ে দিতে হবে।

এদিকে, কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টির পরিমান বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া অফিস। গরমের তীব্রতা তখন কিছুটা কমে আসবে বলে মনে করেন তারা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply