লোডশেডিং আর গ্যাসের চাপ স্বল্পতায় ক্ষতিগ্রস্ত হবিগঞ্জের চা শিল্প

|

লোডশেডিং, বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ আর গ্যাসের চাপ স্বল্পতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হবিগঞ্জের চা বাগানগুলো। সবুজ পাতা উত্তোলনের পরও ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করা যাচ্ছে না। সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। সংকট সমাধানে সংশ্লিষ্টদের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও সুফল মেলেনি বলে অভিযোগ করছেন চা বাগান সংশ্লিষ্টরা।

হবিগঞ্জ জেলার সর্বোচ্চ চা উৎপাদনকারী বাগান হলো ডানকান ব্রাদার্সের নালুয়া টি এস্টেট। প্রতি বছর গড়ে ১৬ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয় এ বাগান থেকে। ভরা মৌসুমের এসময়ে প্রতিদিন সবুজ পাতা উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় ৪৫ হাজার কেজি। কিন্তু বিদ্যুৎ আর গ্যাস সংকটে ৩০ হাজার কেজির বেশি প্রক্রিয়াজাত করতে পারছে না বাগান কর্তৃপক্ষ। বাকিগুলো পচেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

একই অবস্থা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ন্যাশনাল টি কোম্পানির চন্ডীছড়া চা বাগানেও। লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি লো-ভোল্টেজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। প্রতিবার লোডশেডিংয়ে নষ্ট হয় প্রক্রিয়াধীন থাকা বিপুল পরিমাণ চা। এতে আর্থিক ক্ষতিও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

এ নিয়ে হবিগঞ্জ চুনারুঘাট নালুয়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. ইফতেখার এনাম বলেন, আমি যদি একটানা বিদ্যুৎ না পাই, তাহলে পুরো চা-ই নষ্ট হয়ে যায়। তখন ওই চা আর কোনোভাবেই আমরা বাজারজাত করতে পারবো না। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও নষ্ট হচ্ছে।

এ অবস্থায় চা বাগানগুলোর বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা নতুন করে সাজানোর কথা জানালেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জ্যেষ্ঠ মহা-ব্যবস্থাপক মো. মোতাহার হোসেন। তিনি বলেন, আলোচনা করে আমরা আবাসিক এলাকাগুলো আলাদা করার উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে চা বাগানগুলো তাদের ফ্যাক্টরিগুলো চালাতে পারে।

এদিকে, গ্যাসের চাপ কমার বিষয়ে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে বেশ কয়েকটি চা-বাগান। চা উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বাগান সংশ্লিষ্টরা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply