টেস্টে ইংল্যান্ডের বাজবল ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ দেখছেন না ডিন এলগার। দীর্ঘ মেয়াদে এই আক্রমণাত্নক কৌশল ইংলিশদের জন্য ক্ষতির কারণও হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। এর আগে মার্ক বাউচারও প্রশ্ন তুলেছিলেন সব দলের বিপক্ষে যে কোনো পরিস্থিতিতে এই খেলার কার্যকারিতা নিয়ে। ১৭ আগস্ট লর্ডস টেস্টকে সামনে রেখে এমন মন্তব্য করেছে প্রোটিয়ারা।
টেস্ট ক্রিকেটে তখন বাজে সময় পার করছিল ইংল্যান্ড। দলটির সাদা পোশাকের হেড কোচের দায়িত্ব নিলেন সাবেক কিউই ক্যাপ্টেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। কী যেন এক যাদুর ছোঁয়ায় পাল্টে দিলেন ইংলিশদের লাল বলের ক্রিকেট। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ফর্মুলা কাজে লাগিয়ে ম্যাককালাম-স্টোকস জুটি পেল টানা চতুর্থ জয়। ইংলিশ মিডিয়া যাদুকরী তত্ত্বটির নাম দেয় ‘বাজবল’ ক্রিকেট।
ইউরোপের ফুটবলে শব্দটা পরিচিত। মরিসিও সারি চেলসিতে থাকার সময় তার পাসিং ফুটবলকে বলা হত সারিবল। বার্সায় জাভি হার্নান্দেজের কৌশলকে বলা হয় জাভিবল। ম্যাককালামের ডাক নাম বাজ; সেখান থেকেই আসে বাজবল। ক্রিকইনফোর যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি এন্ড্রু মিলার এক পডকাস্টে নামটা দিয়েছিলেন। লক্ষ্য যাই হোক, আগ্রাসী মনোভাবে প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলা ক্রিকেটই এই ব্র্যান্ডের বৈশিষ্ট্য। টি-টোয়েন্টি ধাঁচের এই আক্রমণাত্নক ব্র্যান্ডিং ইংলিশদের দেয় রাতারাতি সাফল্য। তবে প্রশংসার পাশাপাশি এর কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
ক’দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের কোচ মার্ক বাউচার বলেছিলেন, সব দলের বিপক্ষে আর সব কন্ডিশনে কাজে লাগবে না ইংল্যান্ডের এই কৌশল। এবার সেই সুরে সুর মেলালেন দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ক্যাপ্টেন ডিন এলগার। তিনি বলেন, ইংল্যান্ডের নতুন কৌশল রোমাঞ্চকর। কিন্তু আমি তাদের খেলার এই ধরন নিয়ে আগ্রহী নই। আমি এর ভবিষ্যৎ দেখছি না। কারণ টেস্ট ক্রিকেটে অনেক কিছু সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যায়। আমি তাদেরকে আমাদের সিমারদের বিরুদ্ধে এমন খেলতে দেখতে চাই। আমরা জানি, আমাদের যেকোনো রান তাড়া করার এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে উইকেট নেয়ার সামর্থ্য আছে।
এর আগে, অস্ট্রেলিয়ান তারকা ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ ঘাসের উইকেটে হ্যাজেলউড, কামিন্স, স্টার্কদের বিপরীতে এমন ব্যাটিংয়ের কার্যকারিতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে কথার লড়াই শেষে দর্শকদের মাঠের লড়াইয়ের জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। ১৭ আগস্ট থেকে লর্ডসে শুরু হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ। সেখানে বাজবলের কৌশল দেখতে মুখিয়ে আছে ক্রিকেট ভক্তরা।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা ক্রিকেটার কেশব মহারাজ
/এম ই
Leave a reply