জিয়া খানের মৃত্যু মামলায় নতুন মোড়, সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ মায়ের

|

প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খান (১৯৮৮-২০১৩)।

প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু মামলায় নয়া মোড়। ফের মৃত্যুর কারণ সাপেক্ষে জিয়ার প্রাক্তন প্রেমিক সুরাজ পাঞ্চোলি’কে কাঠগড়ায় তুললেন জিয়ার মা। তার মেয়ের ওপর প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো সুরাজ- এমন অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি আদালতে হাজির হন প্রয়াত জিয়ার মা রাবিয়া খান।

অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘নিঃশব্দ’ সিনেমা করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন অভিনেত্রী জিয়া খান। ২০১৩ সালে জুহুর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। তার মৃত্যুকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধরে নেয়া হয়। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ ওঠে প্রেমিক সুরাজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। সিবিআইয়ের হাতে আটকও হয়েছিলেন এ অভিনেতা, পরবর্তীতে জামিনে ছাড়া পান তিনি।

সম্প্রতি জিয়ার মা রাবিয়া খান বিশেষ আদালতকে জানিয়েছেন, পুলিশ বা সিবিআই কেউই- তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে তা প্রমাণ করার জন্য কোনো ‘আইনি প্রমাণ’ সংগ্রহ করেনি। আরও জানিয়েছেন, এটি হত্যা, আত্মহত্যা নয়।

রাবিয়ার দাবি, বলিউডে প্রবেশের শুরু থেকে জিয়া-সুরাজের সম্পর্ক শুরু। সম্পর্ক শুরুর আগে প্রতিনিয়ত জিয়াকে স্টক করতো সুরাজ। ২০১২ সালে তারা সম্পর্কে জড়ায়। কিন্তু মাঝেমধ্যেই মেয়ের মুখ থেকে শুনতেন, বন্ধুদের চোখে জিয়াকে খারাপ করার চেষ্টা এমনকি অন্য মেয়েদের সঙ্গে ফ্লার্টও করত সুরাজ। বাড়িতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও করতো তাকে। অনেকবার সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও পারেননি জিয়া।

জিয়া খানের মৃত্যুর ঘটনা বর্ণনা করে তিনি জানান, ২০১৩ সালের ৩ জুন জিয়ার শোবার ঘরের দরজা খুলে জিয়াকে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তিনি অভিনেত্রী অঞ্জু মহেন্দ্রুকে ফোন করেন। ১০ মিনিটের মধ্যে মইন বেগকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মহেন্দ্র। তারা এসে জিয়ার গলার বাঁধন খুলে তাকে বিছানায় শুইয়ে দেন।

রাবিয়া খান বলেন, আমি তখন জিয়ার বুকে চাপ দিয়ে নিঃশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। এদিকে বেগ একজন ডাক্তারের কাছে দৌঁড়ে যান। ডাক্তার পরীক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সেখানে একজন অফিসার খতিয়ে দেখার পরপরই বলেছিলেন, কিছু তো অস্বাভাবিক রয়েছে। সেদিন বাড়িতে সুরাজের বাবা আদিত্য পাঞ্চোলিও ঢুকেছিলেন। আদিত্য পাঞ্চোলি বাড়িতে প্রবেশ করার সাথে সাথে আমার পায়ের কাছে পড়ে গেলেন। আর বলেছিলেন যে, তার ছেলে নিজের জীবন এবং ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে।

রাবিয়া খান আদালতে বলেন, পুলিশ জিয়ার ফোনসহ সব জিনিস নিয়ে গেছে। সেই ফোনের অনেক টেক্সট মেসেজ মুছে দেয়া হয়েছে বলে দাবি তার। এদিকে মৃত্যুর পর থেকে প্রতিনিয়ত তিনি আন্ডারওয়ার্ল্ড ও রাজনৈতিক মহল ত্থেকেও হুমকি পাচ্ছেন বলে জানান।

জানা গেছে, এ মামলা এখন চলে যাবে ডিফেন্সের কাছে। মৃত্যুর ৯ বছর পরও এই কেসের ফলাফল কিছুই হয়নি। জিয়ার মা একাই মেয়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। জল গড়াবে আর কতোদূর? তদন্তে কি উঠে আসবে নতুন কোনো তথ্য? সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply