রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মারা যাওয়া হাজতির মরদেহ এখনও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে। পুলিশের দাবি, মরদেহ বুঝে নিতে পরিবারের কেউ না আসায় এই বিলম্ব। নিহতের পরিবার আগে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে চায়। যদিও থানা আর আদালতে গিয়েও মামলা করতে পারেননি মারা যাওয়া রুম্মন শেখের স্ত্রী।
শুরু থেকেই রুম্মানের স্ত্রীর অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, থানা হেফাজতে পিটিয়ে মারা হয়েছে তার স্বামীকে। রোববার (২১ আগস্ট) পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে সন্তানসহ আদালতে যান রুম্মানের স্ত্রী জান্নাত। সারাদিন এদিক-সেদিক চেষ্টা শেষে জানান, আইনজীবী পাননি।
তবে, এর আগে মামলা করতে হাতিরঝিল থানায় গিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন জান্নাত। তবে সেখানেও ব্যর্থ হন।
এদিকে পুলিশের দাবি, হাজতে আত্মহত্যা করেছেন রুম্মন শেখ। ময়নাতদন্ত শেষে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে থাকা মরদেহ বুঝে নিতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পরিবারের কোনো বৈধ সদস্য পাওয়া যায়নি বলে জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আজিমুল হক। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতেই মৃত্যু হয় রুম্মন শেখের।
এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। রামপুরা বাজারে এ ঘটনায় মানববন্ধন করেছেন রুম্মন শেখের স্বজনরা। মানববন্ধন থেকে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন নিহতের স্ত্রী জান্নাত।
/এমএন
Leave a reply