টঙ্গীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৪

|

গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরের টঙ্গীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে একজন গুলিবিদ্ধ হন, আহত হন পুলিশের তিন সদস্য।

রোববার দিবাগত রাতে দত্তপাড়া কসাইবাড়ি রেলগেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবুসায়েম নয়ন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন (৩৮), এরশাদনগর এলাকার গেদু মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেন (২২), দত্তপাড়া জহির মার্কেট এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২০) ও দত্তপাড়া সিনিয়র মাদরাসা এলাকার স্বপন মিয়ার ছেলে সাকিব (২২)।

নিহত সুমন মাহমুদ পাটোয়ারি ওরফে তানন (৩৩) টঙ্গীর বড় দেওড়া ফকির মার্কেট এলাকার ফজলুল হক পাটোয়ারির ছেলে। তিনি বড়দেওড়া এলাকায় পাইকারি ডিমের ব্যবসা করতেন।

আবুসায়েম নয়ন আরও জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার রাত সাড়ে সাতটার দিকে আউচপাড়া মেরিট স্কুলের সামনে ২০/২৫ জনের একটি দল ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে সুমন মাহমুদ পাটোয়ারী ওরফে তাননকে (৩৩) হত্যা করে। আহত হয় সালাউদ্দিন তুহিন (২৬) নামে অপর এক যুবক। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানার ৪টি টিম এবং গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ২টি টিম কাজ শুরু করে। রাতভর টঙ্গীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ইসমাইলসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেফতার আসামি মোবারককে নিয়ে দত্তপাড়া কসাইবাড়ি রেল গেইটে সহযোগী আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সহযোগীরা মোবারককে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে সহযোগী আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মোবারককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে ২টি ছোরা ও ১টি চায়নিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী ইসমাইলের সঙ্গে চলাফেরা করতো নিহত তানন। ইসমাইলের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ অন্তত ৬টি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইসমাইলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল তাননের। এর জেরে রোববার রাতে সুরতরঙ্গ রোড, দত্তপাড়া ও এরশাদনগরের তিনটি গ্রুপ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাননকে কুপিয়ে হত্যা করে।

সূত্রটি আরও জানায়, সুরতরঙ্গ রোড নিয়ন্ত্রণ করে সন্ত্রাসী ইসমাইল হোসেন। দত্তপাড়া ও এরশাদ নগর এলাকার কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে সজল সরকার ও জুয়েল শিকদার। ইসমাইল গ্রুপের সঙ্গে এই দুই গ্রুপের যোগসূত্র রয়েছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply