সাম্প্রতিক বৈরি আবহাওয়ায় উত্তাল বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন বাংলাদেশি শতাধিক মৎস্যজীবী। এদের মধ্যে ভারতে উদ্ধার ১১৪ জেলে অবস্থান করছেন বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে। দেশে ফিরতে সরকারের উদ্যোগের অপেক্ষায় তারা।
অন্যান্য দিনের মতোই গৎ ১৮ আগস্ট মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে যান বাংলাদেশের শতাধিক মৎসজীবী। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিলে উত্তাল হয়ে ওঠে সাগর, শতাধিক জেলেকে নিয়ে ডুবে যায় বেশকিছু ট্রলার। প্রায় দুইদিন সাগরে ভেসে থাকার পর ১১৪ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্ট গার্ড ও নৌ বাহিনী। সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় ৩৩ জনকে ভর্তি করানো হয় পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপের একটি হাসপাতালে। বাকিদেরকে নেয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা, রায়দিঘী এবং পুর্ব মেদিনীপুরের ত্রাণশিবিরে। এখন দ্রুত দেশে ফেরার অপেক্ষায় এসব মৎস্যজীবী।
প্রায় দুদিন সাগরে ভেসে থাকার পর ১১৪ মৎসজীবীকে উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্ট গার্ড এবং নৌ বাহিনী। সংকটাপন্ন অবস্থায় ৩৩ জনকে ভর্তি করা হয় পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপের একটি হাসাপাতালে। বাকিদের নেয়া হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, রায়দিঘি এবং পূর্ব মেদিনিপুরের ত্রাণ শিবিরে। দ্রুত দেশে ফেরার অপেক্ষায় এসব মৎস্যজীবী।
ইয়াকুব আলী নামের এক বাংলাদেশি মৎসজীবী জানান, আমাদের বাবা-মায়েরা বাড়িতে কান্নাকাটি করছেন, আমাদেরকে দ্রুত বাড়িতে দিরে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করুন।
মোহাম্মদ মফিজ নামের আরেক মৎসজীবী বললেন, আমাদের বাবা-মা, সন্তানরা, আত্মীয়-স্বজনরা বাড়িতে কান্নাকাটি করছেন। আমরা-তারা সবাই চাইছি দ্রুত বাড়িতে ফিরতে। প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ যেন আমাদেরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ মুহূর্তে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশন এবং কাকদ্বীপ ওয়েলফেয়ার ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন এই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা।
কাকদ্বীপ ফিশার ম্যান অয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, এই জেলেদেরকে আমরা প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। প্রশাসন তাদের মেডিকেল টেস্ট করিয়েছে। তাদেরকে এখন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। আমরা তাদের খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে যতোটা পারছি সাহায্য করছি, সরকারও বিভিন্নভাবে সাহায্য করছি।
কাকদ্বীপ ফিশার ম্যান অয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বাবুল দাস বলেন, আমরা মহকুমা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র দফতরের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। বাড়ি ফেরার আগ পর্যন্ত তাদের থাকার জায়গা-খাবারসহ প্রয়োজনীয় যা যা লাগে সব সরবরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, ভারতে আটকে পড়া জেলেরা বরগুনা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী উপকূলের বাসিন্দা।
/এসএইচ
Leave a reply