আতঙ্ক আর শঙ্কা নিয়ে ৩১তম স্বাধীনতা দিবস পালন করলো আয়তনে ইউরোপের ২য় বৃহত্তম দেশ ইউক্রেন। ১৯৯১ সালের এ দিনে রুশ নেতৃত্বাধীন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে ইউক্রেনীয়রা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
বুধবার (২৪ আগস্ট) আতঙ্ক নিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করছেন ইউক্রেনীয়রা। সেই সাথে আজই দেশটিতে রুশ আগ্রাসনের ৬ মাস পূর্ণ হলো। ভূমি, আকাশ ও সমুদ্র, তিন দিক থেকেই ক্রমাগত হামলার হুমকি থাকায় এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনেকটাই যেনো ম্লান হয়ে গেছে ইউক্রেনীয়দের। ফলে এবার দেশটিতে এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে অনেকটা ভীতি ও শঙ্কার মধ্যে। রুশ হামলার আশঙ্কায় রাজধানী কিয়েভে নিষিদ্ধ করা হয়েছে জনসমাগম। খারকিভে জারি করা হয়েছে কারফিউ। স্বাধীনতা দিবসে যেকোনো রুশ আক্রমণ থেকে নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এরমধ্যেও, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে এক ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আমরা আমাদের রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর হুমকির বিরুদ্ধে লড়ছি আর এটি এমন এক সময়ে যখন আমরা জাতীয় ঐক্যের সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন হাজারো বেসামরিক মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় দেড় কোটির বেশি মানুষ। ধ্বংস হয়ে গেছে দেশটির অসংখ্য শহর। সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে এ যুদ্ধ।
/এসএইচ
Leave a reply