কক্সবাজারে স্কুল শিক্ষিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৩

|

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরারপথে স্কুল শিক্ষিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে র‍্যাব-১৫’র কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, কক্সবাজার র‍্যাব-১৫’র সহকারী পরিচালক এএসপি নিত্যানন্দ দাশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মামলার প্রধান আসামি বেদার মিয়া (ইজিবাইক চালক), বেলাল উদ্দিন (রাজমিস্ত্রি) এবং মোস্তাক মিয়া (ভিডিওম্যান)।

সংবাদ সম্মেলনে এএসপি নিত্যানন্দ দাশ জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দলবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ওইদিন বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজার চান্দের পাড়ায় স্কুল শিক্ষিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং এ পরিকল্পনা ঘটনার আগের রাতেই করা হয়।

এএসপি নিত্যানন্দ আরও জানান, গত ১৮ আগস্ট রাতে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর মালিপাড়া থেকে ওই শিক্ষিকা তার এক ভাগ্নির বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে বেদার মিয়া নামের একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই স্বজনের বাড়ি থেকে টমটমে করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। এ সময় ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় পৌঁছালে বেদার ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক আরেকটি টমটমে তুলে নেয়। পরে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলায় আটকিয়ে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনায় সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে এ বিষয়ে মামলা নেয় পুলিশ।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, ১৮ আগস্ট রাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকা থেকে ভাগ্নি সম্পর্কের একজনের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন এক স্কুল শিক্ষিকা। সেখানে পরিচয় হয় পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ইউনূছঘোনা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া (২৮) নামের একজনের সাথে। এ সময় কিছুক্ষণ কথাও বলেন তারা। পরে কথা হয় আরও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের সাথে।

পরদিন ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ওই স্বজনের বাড়ি থেকে স্কুল শিক্ষিকা ইজিবাইক (টমটম) যোগে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় পৌঁছালে গতিরোধ করে বেদার ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে ওই নারীকে টেনে তাদের ইজিবাইকে তুলে নেয়। তারপর দেশীয় অস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে বেদারসহ তিনজন ধর্ষণ করে। তখন শিক্ষিকা চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply