‘বাঁচতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পরিস্থিতি সে সুযোগ দিলো না!’ স্ত্রী, দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার

|

আত্মহত্যার আগে দুই পাতা সুইসাইড নোট লিখেছিলেন। সেখানে মাকে উদ্দেশ্য করে লেখা ছিল, মা, আমি যাচ্ছি। বাঁচতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পরিস্থিতি আমায় সে সুযোগ দিলো না।

অন্য একটি পাতায় ভাইকে উদ্দেশ্য করে লেখা, আমি আবার আসবো ভাই। তুই অনেক বড় হ। আমার এটাই ইচ্ছা। আমার মৃত্যুর পর একবার হেসে তাকাস… জীবনযুদ্ধে হেরে গিয়েছি। কিন্তু আমার মৃত্যু শুধু শরীরের হবে, মনের নয়।

গত মঙ্গলবার ঘর থেকে উদ্ধার হয় দুই সন্তান, স্ত্রী এবং ইঞ্জিনিয়ার অমিত যাদবের দেহ। ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাগরের বাসিন্দা অমিত। তিন বছরের মেয়ে ইয়ানা, দেড় বছরের ছেলে দিব্যাংশ এবং স্ত্রী টিনাকে খুন করার পর আত্মহত্যা করেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

সাগরের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে ইনদওরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন অমিত। একটি টেলিকম সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তিনি। অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে তিন লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন অমিত। বেশ কয়েকটি অ্যাপের মাধ্যমে সেই ঋণ নেন। কিন্তু সেই টাকা শোধ করতে না পারায় ক্রমাগত মানসিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছিল তার ওপর। আর সে কথাও সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে তিন লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছি। সেই ঋণ শোধ করতে পারছি না। আমি দিশাহারা হয়ে যাচ্ছি। আর এই চাপ সহ্য করতে পারছি না। তাই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি। আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮৫০ রুপি আছে। সেই টাকা ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিচ্ছি। আরও বলে রাখি, আমার মৃত্যু হলে পরিবারের কাউকে সেই টাকা শোধ করতে হবে না।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে খুন করার পর আত্মঘাতী হয়েছেন অমিত। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছে, অনলাইন অ্যাপ থেকে ঋণ নিতে গিয়ে অনেকেই নিজের জীবন বিপন্ন করে তুলছেন। তাই এই ধরনের অ্যাপ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply