নিজের পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে হত্যা! ফেঁসে যাচ্ছেন সাবেক এসপি বাবুল

|

বাবুল আকতার ও মাহমুদা মিতু। ফাইল ছবি।

এবার ফেঁসে যাচ্ছেন বহুল আলোচিত সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। পরকীয়ার জেরে স্ত্রী মাহমুদা মিতুকে হত্যার প্রমাণ মিলেছে পিবিআই এর তদন্তে। স্ত্রীকে হত্যার জন্য ৩ লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেছিলেন তিনি। অভিযোগপত্র প্রস্তত করেছে পিবিআই। আদালতে দাখিল করা হবে আগামী সপ্তাহে।

হত্যাকাণ্ডের প্রায় সাড়ে ৫ বছর পর, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি, সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে নতুন মোড় নেয় মিতু হত্যা মামলা।

পিবিআই এর তদন্তে উঠে আসে, মামলার বাদী বাবুল আক্তার নিজেই স্ত্রী হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। খুনের জন্য ৩ লাখ টাকায় ভাড়া করেন নিজের বিশ্বস্ত সোর্স মুসাসহ ৮ জনকে। বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত হওয়ায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থের যোগাদাতা বাবুল আকতারই। তিনি তার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সহযোগী মুসার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছেন।

বাবুল আক্তার কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত গায়ত্রী অমর সিং নামে ভারতীয় তরুণীর সাথে সম্পর্কের জেরেই মূলত এ হত্যাকাণ্ড। বাবুলকে উপহার দেয়া বইয়ের পাতায় লেখা ছিল দুজনের ঘনিষ্ঠতার কথা। তা দেখে স্ত্রী মিতু ক্ষুব্ধ হন, এক পর্যায়ে তাকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাবুল। প্রস্তুত করা ৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রের সাথে, থাকছে ১০ পৃষ্ঠার তথ্যপ্রমাণ।

চট্টগ্রাম মেট্রোর পিবিআই পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘পরিচিত’ সম্পর্কের বাইরে বাবুল আক্তার ও গায়েত্রির মধ্যে আলাদা যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয় সেটি মিতু জেনে যায়। সেটি জানার পরেই বাবুল ও মিতুর মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়।

এরইমধ্যে অভিযোগপত্রের সাক্ষ্যস্মারকে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফখরুদ্দীন চৌধুরী। দু’একমাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আশা তার।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে হন মাহমুদা মিতু। পরদিন পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বাবুল আক্তার।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply