যুক্তরাষ্ট্রে টানেলের শহর, ভেতরে রেস্টুরেন্টসহ সব সুযোগ-সুবিধা

|

যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন শহরের বেশিরভাগ বাসিন্দাদের চলাচলের মাধ্যম এখন টানেল। মাটির নিচের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত টানেল দিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াত করেন তারা। শহরের সব ভবন টানেলের সাথে যুক্ত। ঝড়-বৃষ্টি বা দাবদাহের মাঝেও নির্বিঘ্নে চলাচল করা যায়। এছাড়া মাটির নিচেই গড়ে উঠছে হোটেল-রেস্তোরাঁসহ প্রয়োজনীয় অনেক কিছু। খবর রয়টার্সের।

চারদিকে অসংখ্য উঁচু উঁচু বিল্ডিং। অথচ রাস্তায় মানুষ নেই বললেই চলে। যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ বৃহত্তম শহর হিউস্টনকে যে কারও কাছেই জনশূন্য ভৌতিক কোনো শহরই মনে হবে। শহরটির মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যম এখন টানেল। মাটির ২০ ফুট নিচে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ট্যানেলের ভেতর দিয়েই মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছোটে। এছাড়া মাটির নিচেই রয়েছে রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে রয়েছে প্রয়োজনীয় সবকিছু।

ট্যুর গাইড, ভ্যানেসা লোপেজ বলেন, অনেক পর্যটকই এই শহরের টানেল সম্পর্কে জানে না। তারা এখানে এসে অবাক হয়। পর্যটকরা প্রায়ই বলে তাদের কাছে হিউস্টনকে ভূতের শহর মনে হয়। আমাদের টানেলে সব সুযোগ-সুবিধাই রয়েছে। রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে আপনার নখ কাটা, চুল কাটাসহ সবকিছুর ব্যবস্থাই রয়েছে টানেলে।

বৃষ্টি ও তীব্র তাপদাহের মাঝেই টানেল দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যাংক, অফিস, শপিংমল থেকে শুরু করে এ শহরের সব বিল্ডিংই টানেলের সাথে যুক্ত। ছয় মাইল বিস্তৃত টানেল সিস্টেম শহরের ৯৫টি ব্লককে একসাথে যুক্ত করেছে। ৩০ এর দশকে হিউস্টনে শুরু হয় টানেলের ব্যবহার। সময়ের সাথে সাথে শহরটির টানেল সিস্টেমে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply