কেরু এন্ড কোম্পানি: চিনি ইউনিটে লোকসান, বিপুল আয় মদে

|

চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কেরু এন্ড কোম্পানির চিনি ইউনিটে বড় অংকের লোকসান হয়েছে। তবে, সেই লোকসান পুষিয়ে দিয়েছে ডিস্টিলারি বিভাগ। সবশেষ অর্থবছরে শুধু অ্যালকোহল বিক্রি করেই লাভ হয়েছে ১শ’ কোটি টাকারও বেশি। বিপুল আয়ে এবার মুনাফার রেকর্ড গড়েছে ৮৩ বছরের প্রাচীন চিনিকলটি।

দেশে রাষ্ট্রায়াত্ত চিনিকল ১৫টি। এসব প্রতিষ্ঠান লোকসান গুনছে বছরের পর বছর। একই চিত্র কেরু এন্ড কোম্পানিতে। উৎপাদিত চিনি বিক্রি করে লোকসানে হাবুডুবু খাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার এই শিল্পপ্রতিষ্ঠান। প্রতি বছরের মতো এবারও চিনি ইউনিটে বড় ধরনের লোকসান হয়েছে কেরুতে, যা প্রায় ৫০ কোটি টাকা। লোকসান কমাতে এ খাত নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে কেরু কর্তৃপক্ষ।

কেরু এন্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেছেন, সেল সেন্টার স্থাপনের জন্য আমরা ‌এরইমধ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছি। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি তাতে আশা করছি ২০২২-২৩ অর্থবছরে লাভ করতে সক্ষম হবো।

উল্টোচিত্র ডিস্টিলারি ইউনিটে। চলতি অর্থ বছরে ৩০ শতাংশ বেড়েছে কেরুর মদের চাহিদা। অ্যালকোহল বিক্রি করেই কোম্পানির লাভ ১শ’ কোটি টাকারও বেশি।

কোম্পানির ডিস্টিলারি বিভারগের মহাব্যবস্থাপক ফিদা হাসান বাদশাহ জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় অ্যালকোহল বিক্রির পরিমাণ অনেকে বেড়েছে। যেহেতু এই প্রোডাক্ট বিক্রির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই বিক্রির সাথে পাল্লা দিয়ে সেই পরিমাণ প্রোডাক্ট উৎপাদন করেছি আমরা।

প্রত্যাশার অধিক লাভ হওয়ায় নতুন করে আশা জাগাচ্ছে ৮৩ বছরের পুরানো এ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় ও শ্রমিকদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে চিনিকল।

কেরুর এমন অর্জন ধরে রাখতে আখ উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে কোম্পানিটি। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেছেন, চাষীদের মাঝে যাতে উন্নত আখের বিজ সরবরাহ করতে পারি সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়নে ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ এরইমধ্যে ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply