‘সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতার সম্পর্কিত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হতে পারে’

|

মেহেরপুর প্রতিনিধি:

সরকারি কর্মচারীদের নিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর পর্যবেক্ষণ করা হবে, প্রয়োজনে আপিল করা হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দাখিলের পর তাদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতির বিধান বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে মেহেরপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা থেকে মেহেরপুরে এসে পৌঁছান। এ সময় তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের অহেতুক হয়রানি করা যাবে না এই আইনটি অনেক পুরোনো। এ আইনটি বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট, সরকারি কর্মচারীদের জন্য আগে থেকেই রয়েছে। বংলাদেশ ছাড়াও ভারতসহ অন্যান্য দেশেও কাছাকাছি একই রকম আইন আছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো দুর্নীতি করে থাকলে সেক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।

তিনি আরও বলেন, এ ধারাটি যে বাতিলের রায় হয়েছে, সে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পাওয়ার পর বিচার বিশ্লষেণ করে দেখা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পরে আপিল করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতির বিধান বৃহস্পতিবার বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। সরকারি চাকরি আইনে ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাদি-সংক্রান্ত আইনের ৪১ (১) ধারার ভাষ্য, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে করা ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাকে গ্রেফতার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধাসংক্রান্ত আইনের এই ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থী উল্লেখ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারাটি কেনো সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এ রুলের ওপর ২৪ আগস্ট শুনানি শেষে ২৫ আগস্ট রায় ঘোষণা করা হয়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply