প্রাণীর ওজন পরিমাপে লন্ডনের চিড়িয়াখানায় বিচিত্র পদ্ধতি

|

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানা জুওলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডনে চলছে প্রাণীদের ওজন পরিমাপ কর্মসূচি। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ১৪ হাজারেরও বেশি প্রাণীর ওজন ও উচ্চতা মাপা হচ্ছে। বানর, হরিণ, গণ্ডার থেকে ছোট্ট প্রজাপতিও বাদ যাচ্ছে না এ কর্মসূচি থেকে। ওজন মাপার যন্ত্রে প্রাণীদের তোলার জন্য নানা কৌশলের অবলম্বন করতে হয় কর্মীদের। এই মাপযোগ হয় বছরে একবার; শুরু হলে শেষ করতে লেগে যায় এক সপ্তাহ।

মাপা হয় পানির তলদেশের প্রাণীর ওজনও। গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) শুরু হয়েছে ওজন ও উচ্চতা মাপার এ কার্যক্রম, চলবে প্রায় এক সপ্তাহ। মূলত প্রাণীগুলো ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা, সুস্থ আছে কিনা কিংবা ঠিকভাবে বেড়ে উঠছে কিনা তা বোঝার জন্যই এ প্রক্রিয়া। এ সম্পর্কে জুওলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডনের উপ-প্রাণী ব্যবস্থাপক ড্যানিয়েল সিমন্ডস বলেন, প্রতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করি। আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সব প্রাণীর সঠিক ওজন নির্ণয় করতে আমাদের এক সপ্তাহ লেগে যায়। প্রাণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার চমৎকার একটি উপায় এটি। আমরা সব পরিসংখ্যান অনলাইনে প্রকাশ করি।

একেক কৌশলে মাপা হয় একেক প্রাণীর ওজন ও উচ্চতা। বড় প্রাণীর ওজন মাপাতে ব্যবহার করা হয় শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত মেশিন। আর ক্ষুদ্র প্রাণীদের সঠিক ওজন পেতে ব্যবহার করা হয় বিশেষ যন্ত্র। পেঙ্গুইনের ওজন মাপা হয় সকালে, সারিবদ্ধভাবে যখন এরা খেতে যায়। আর খাবারের লোভ দেখিয়ে মাপা হয় বানরের ওজন। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ওজন ৭২৮ কেজির একটি ব্যাকট্রিয়ান উটের। স্কুইরাল প্রজাতির মাত্র কয়েকশ গ্রাম ওজনের বানরও রয়েছে চিড়িয়াখানায়।

ড্যানিয়েল সিমন্ডস বলেন, প্রথমদিন আমরা বেশকিছু প্রাণীর ওজন মেপেছি। নোয়েমি নামের একটি স্ত্রী ব্যাকট্রিয়ান উটের ওজন এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম ওজনের প্রাণী সম্ভবত স্কুইরাল বানর, যাদের ওজন কয়েকশ গ্রাম।

সব প্রাণীর ওজন মাপা শেষে তৈরি করা হয় ডাটাবেজ। পরে তা পাঠিয়ে দেয়া হয় বিশ্বের বিভিন্ন চিড়িয়াখানায়, যাতে তারাও তুলনা করে বুঝতে পারে তাদের চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলো সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে কিনা।

আরও পড়ুন: কাঁকড়াবিছের বিষ বিক্রি করে কোটি টাকা আয় তুরস্কের কৃষকের

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply