চিনির বাজারে অস্থিরতা; মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ

|

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি নেই। দাম বেড়েছে চাল, ডাল, তেলসহ সবধরনের পণ্যের। চিনি-গুড়ের দরও ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। আর গুড়ের দরও বেশ চড়া।

দোকানদাররা বলছেন, মোকামে সরকারি মিলের চিনি নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে বেসরকারি রিফাইনারী মিলগুলো। আমদানি পর্যায়ে দাম বাড়ার প্রভাব পড়ছে খুচরা পর্যায়ে।

২০২১ সালের শুরুতে এক কেজি চিনির দাম ছিল ৬৫ টাকা পরবর্ততীতে ৫ টাকা বাড়িয়ে হয় ৭০ টাকা। একই বছরের ৬ এপ্রিল বাংলদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) আরও ৫ টাকা দাম বাড়িয়ে করে ৭৫ টাকা। বিশ্ব বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং শুল্ক সুবিধা না থাকায় গত ১০ আগস্ট বেসরকারি মিল মালিকরা আবারও চিনির দাম পুনর্নির্ধারণের আবেদন করে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তারা বলছেন, ৫৫ টাকা করে চিনি নিতাম। বাড়তে বাড়তে ৮০ টাকা। ৮০ টাকা থেকে এখন ৯০ টাকায় গেছে। এ রকম সব জিনিসেই দাম বাড়তেছে।

বাজারে খুচরা পর্যয়ে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা আর প্যাকেটজাত ৯৫ টাকা। পাইকার ও খুচরা বিক্রেতা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন খরচ বেড়েছে। বাজারে নেই সরকারি মিলের চিনি।

বিক্রেতারা বলছেন, ১৫ দিন আগে চিনি কিনছি ৩৮০০ থেকে ৩৮৫০ টাকায়। আর এখন ৪২০০ টাকায় পাইকারিতে চিনি কিনছি।

বেড়েছে সবধরনের গুড়ের দামও। বলা হচ্ছে উৎপাদন পর্যায়ে চিনি মিশ্রিত করা হয় গুড়ের সাথে। যার কারণে গুড়ের দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত ১০ টাকা।

উল্লেখ্য, দেশে প্রতি বছর প্রায় চিনি আমদানি করা হয় ২২ লাখ টন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply