আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে লিবিয়া। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে ত্রিপোলির আকাশ। মুহুর্মুহু গুলি আর বিস্ফোরণে প্রকম্পিত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। শনিবার (২৭ আগস্ট) দু’পক্ষের গোলাগুলিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরটি। সহিংসতায় প্রাণ যায় কমপক্ষে ২৩ জনের। আহত হয়েছে শতাধিক। উত্তর আফ্রিকার দেশটি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। আবারও দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের আশঙ্কাও অনেকের।
দীর্ঘ রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান না হলেও গেলো দু’বছর তুলনামূলক শান্ত ছিল লিবিয়া। সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে আবার ছড়ায় উত্তেজনা। পূর্বাঞ্চলভিত্তিক পার্লামেন্টে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করে ফাথি বাশাঘার নাম। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জিএনইউ সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেইবাহকে রাজধানী ছাড়তে হুমকি দেন তিনি।
শুক্রবার বাশাঘার অনুগত মিলিশিয়া বাহিনী রাজধানীতে প্রবেশের চেষ্টা করলে প্রতিহত করে জিএনইউ সরকারের সশস্ত্র বাহিনী। শুরু হয় সংঘাত। টানা গুলি বিনিময়ে হতাহত হন বহু বেসামরিক। নিহতদের মধ্যে আছেন দেশটির বিখ্যাত কমেডিয়ান মুস্তাফা বারাকা। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক বাড়িঘর, হাসপাতাল, যানবাহন।
দু’পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সহিংসতার অবসান চায় ত্রিপোলির নাগরিক সংগঠনও। ত্রিপোলি কাউন্সিলের সদস্য ওমর ওয়েহেবা বলেছেন, আমরা সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। মনে করিয়ে দিতে চাই বেসামরিক রক্তপাত বন্ধ হওয়া উচিত। জনগণের সম্পদ নষ্ট আর সংঘাতের তীব্র নিন্দা জানাই। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে দায়িত্ব নিতে হবে জিএনইউ সরকারকে। নিশ্চিত করতে হবে জনগণের নিরাপত্তা।
২০১১ সালে ন্যাটোর প্রত্যক্ষ মদদে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই অস্থিতিশীল লিবিয়ার রাজনীতি। এক অংশে জাতিসংঘ সমর্থিত ত্রিপোলি ভিত্তিক সরকার, যার নেতৃত্বে এখন আব্দুল হামিদ দেইবাহ। আরেকদিকে পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্টে বিদ্রোহী খলিফা হাফতার বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট প্রশাসন।
সূত্র: আল জাজিরা।
জেডআই/
Leave a reply