জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন সর্বত্র। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অকাল বন্যা, খরা ও অনাবৃষ্টির মতো আলামতের পাশাপাশি লোকচক্ষুর আড়ালে নীরবে শুকিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন নদনদী। এর মধ্যে লন্ডনের টেমস নদীর উৎসস্থল শুকিয়ে যাওয়া নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে যমুনা টেলিভিশনে। এ ছাড়াও বিখ্যাত একাধিক নদী এরই মধ্যে শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। জি নিউজের।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র খরার মুখে কলোরাডো নদী আশঙ্কাজনকভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি অঙ্গরাজ্য ও মেক্সিকোর প্রায় চার কোটি মানুষ পানীয়, কৃষি ও বিদ্যুতের জন্য এ নদীর উপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি নদী অববাহিকাকে রক্ষা করতে সরকার বাধ্যতামূলকভাবে এ নদীর পানির ব্যবহার কমানোর নির্দেশ দিয়েছে।
চীনের ইয়াংসি নদী এশিয়ার অন্যতম বিখ্যাত একটি নদী। তবে এই নদীও খুব দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। ইয়াংসির উপনদীগুলো ইতোমধ্যেই শুকিয়ে গেছে। ছয় দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহের কারণে দেশব্যাপী খরা-সতর্কতা ঘোষণা করেছে চীনা সরকার। এই খরাই নদী শুকিয়ে যাওয়ার একটা বড় কারণ। ইয়াংসি নদী শুকিয়ে যাওয়ায় এর আশপাশের অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
এদিকে ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় অঞ্চলে পণ্য পরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল জার্মানির রাইন নদী। শুকিয়ে নদীর তলদেশ দৃশ্যমান হওয়ায় এই পথে বর্তমানে জাহাজ চলাচল বন্ধ আছে। ফ্রান্সের লয়ার নদীও শুকিয়ে গেছে। বিখ্যাত এ নদীর পানি এতোটাই কমে গেছে, যে মানুষ এখন হেঁটেই নদী পার হতে পারে।
খরার মুখে পড়ে পশ্চিম ইউরোপের দীর্ঘতম নদী দানিয়ুবেরও করুণ দশা। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ শিপিং চ্যানেলটি ১০টি দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এর পানি কমে যাওয়ায় জাহাজ চলাচল ব্যহত হচ্ছে।
এসজেড/
Leave a reply