প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, মাদারীপুর
শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি রুট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে। উপচেপড়া ভিড়ের সুযোগে এ রুটের নৌযানগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নদী পার করা হচ্ছে। এমনকি যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুট হয়ে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নামে। বাড়তি ভাড়া গুনে ও অতিরিক্ত বোঝাই হয়ে লঞ্চ, স্পিডবোটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ঘাটে নামছে যাত্রীরা। শিমুলিয়া থেকে স্পীডবোটের ১৩০ টাকার ভাড়া বদলে নেয়া হচ্ছে ২শ টাকা। লঞ্চে নেয়া হচ্ছে ৩০ টাকার ভাড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
এছাড়া লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে পদ্মা নদী পার হতে দেখা গেছে। আবার যাত্রীরা নদী পার হয়ে এসে পড়ছেন বাড়তি ভাড়ার সামনে। কাঠালবাড়ি ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া সকল যানবাহনই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। বাসগুলোতেও ছাদ বোঝাই করে যাত্রী নেয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এমএল সেভেন স্টার থ্রী লঞ্চের সম্মুখে ধারণক্ষমতা ১৪০ জন যাত্রীর সংখ্যা লেখা থাকলেও বেলা ১১ টা ৩৫ মিনিটে লঞ্চটিকে ৩শ৯ জন যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ভিড়তে দেখা যায়। অপরদিকে স্পীডবোটগুলোতে লাইফজ্যাকেট ব্যবহার দেখা গেলেও ১শ ৩০ টাকার ভাড়ার বদলে ২শ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া দক্ষিণাঞ্চলের সকল দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
লঞ্চ যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে প্রতিটি যানবাহনে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার সাথে সাথে ৩০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা নিয়েছে।
স্পীডবোট যাত্রী হেলেনা বেগম বলেন, ভাড়া ছিল ১শ৩০ টাকা চাইলো আড়াই শ শেষ পর্যন্ত ২শ টাকা দিয়ে পার হলাম।
বাসযাত্রী ইমরুল বলেন, কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে কোন লোকাল বাস নেই সব বাস বরিশাল খুলনাসহ দূরপাল্লায় চলছে। এছাড়া সব যানবাহনেই বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির মেরিন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, গতকাল ফেরি ঘাটে তেমন চাপ না থাকলেও আজ সকাল থেকেই চাপ বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যানজট নেই।
পুলিশ সুপার সরোয়ার হোসেন বলেন, যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নদীতে নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a reply