ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিপনের তৎপরতায় রক্ষা পেলো হাজারো ট্রেন যাত্রীর প্রাণ

|

হাতের এই লাল কাপড়টি দেখিয়েই ট্রেন থামিয়েছিলেন শিপন।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত গরমের কারণে রেললাইন বেঁকে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় আপলাইনে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এ সময়ই শিপন নামের এক কিশোরের তৎপরতায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন ঢাকাগামী চট্টলা এবং বিজয় এক্সপ্রেসে ট্রেনের হাজারো যাত্রী।

সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার ছোটহরণ এলাকায় তালশহর সেকশনে এ ঘটনা ঘটে। শিপন নামে এক কিশোরসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে লাল নিশান উড়িয়ে থামিয়ে দেয় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে। ফলে বেচেঁ যায় হাজারো যাত্রীর প্রাণ।

জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১.৪৭ মিনিটে দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ছোটহরণ এলাকার তালশহর সেকশনে অতিরিক্ত গরমের কারণে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার বিষয়টি চোখে পড়ে স্থানীয়দের। তবে এ সময়ের মধ্যে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেসে ট্রেনটি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি চলে আসলে ট্রেনটিকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে বিপদ সংকেত দিতে স্থানীয় কিশোর শিপনসহ কয়েকজন মিলে লাল কাপড় দিয়ে ট্রেনটি থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু হাতের কাছে লাল কাপড় না পাওয়ায় স্থানীয় আরেক নারী রাফিয়া তার লাল রঙের একটি কাপড় দেন শিপনকে। এরপর সেই কাপড়টিকেই নিশান বানিয়ে ট্রেন থামার সংকেত দেন শিপন। বিপদ বুঝতে পেরে চালকও ট্রেন থামিয়ে দেন। এ ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় চট্টলার হাজারো যাত্রী।

পরবর্তীতে খবর পেয়ে রেলওয়ের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রেললাইনে পানি ঢেলে ঠাণ্ডা করে লাইন মেরামতের কাজ শুরু করেন। এরপর বিকেল ৩.৪০ মিনেটর দিকে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গণমাধ্যমকে শিপন জানান, তিনি ছোটহরণ এলাকার রেল সেতুতে উঠে দেখতে পান যে রেললাইনটি বেঁকে গেছে। এ সময় চট্টলা ট্রেনটি বেঁকে যাওয়া লাইনেই আসছিলো। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় আরও কয়েকজনকে নিয়ে ট্রেনটি থামানোর চেষ্টা করেন তিনি। পরে তারা এক নারীর কাছ থেকে লাল রঙের একটি কাপড় নিয়ে নিশান বানিয়ে ট্রেন চালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ট্রেন থামানোর জন্য। পরে চালক বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রেন থামিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার সাকির জাহান বলেন, রেললাইন বেঁকে যাওয়ার খবর আমরা জেনেছি।। তবে স্থানীয়দের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। অন্যথায় অনেক প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply