পূর্ব পারে শিক্ষার্থী বেশি, তবু পশ্চিম পারেই স্কুল পুনর্নির্মাণ করতে চান সংসদ সদস্য

|

অস্থায়ীভাবে চলছে বিলিন হওয়া স্কুলটির শিক্ষা কার্যক্রম।

নদী ভাঙনের কারণে শিক্ষা কার্যক্রমে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ২২ চর চন্দনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিশুর। চর বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় উত্তাল নদী পাড়ি দিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করছে এসব শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, যে পারে শিক্ষার্থী কম সেদিকেই স্কুলের স্থায়ী ভবন নির্মাণে স্মারকলিপি দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। শিক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনায় পূর্ব পাশে স্কুল প্রতিষ্ঠার দাবি স্থনীয়দের।

গতবছর যমুনার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় ভূঞাপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। চর বিভক্তির পর পশ্চিম পারের একটি মাদরাসায় অস্থায়ীভাবে ভেঙে পড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। স্কুলটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২৮ জন, যার মধ্যে পূর্ব পারের বাসিন্দাই ১১৪ জন। তাই পূর্ব পাড়ে নতুন স্কুলভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের।

অস্থায়ী জায়গায় স্কুল কার্যক্রম চালানো বেশ কষ্টসাধ্য। পাশাপাশি যেপাশে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, সেখানে স্কুল নির্মাণই বেশি যুক্তিসঙ্গত বলছেন শিক্ষকরা। এনিয়ে স্কুলটির শিক্ষকরা বলছেন, যে পাশে স্কুল করার কথা হচ্ছে, সেই পাশে খাতায় কলমে আমাদের শিক্ষার্থী ১৪ জন। আর প্রতিদিন আমরা সেখানে উপস্থিত পাই ৬-৭ জন। পূর্ব পাশেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। স্কুলটি সেই পাশে নির্মাণ করা হলেই উপকার হবে বলে মনে করেন তারা।

তবে এ নিয়ে ভিন্নমতের কথা জানালেন টাঙ্গাইল-২ এর সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির। তিনি বলেন, পূর্ব পাশে, যারা দাবি করে তাদের ছাত্র সংখ্যা বেশি, তারা এসেছিল। তাদের আমি আশ্বস্ত করেছি যে, প্রয়োজনে ওই পাশে নতুন করে আরও একটি বিদ্যালয় আমরা নির্মাণ করে দেবো।

তবে সরকার যেখানে অনুমোদন দেবে সেখানেই স্কুল নির্মাণ হবে উল্লেখ করে টাঙ্গাইলের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদ বলেন, এ নিয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। সরকারের পক্ষ থেকে যে পাশে স্কুল নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেয়া হবে, সেই পাশেই নির্মাণ করা হবে স্কুলটি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply