নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ প্রাপ্তি এখন সহজ, প্রতারণা এড়াতে সতর্ক থাকার পরামর্শ

|

আর্থিক ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা এমএফএস। এই ডিজিটাল সেবার ফলে তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রমের গতি বেড়েছে। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিক্ষার্থীদের কাছে নিরবিচ্ছিন্ন উপবৃত্তি প্রদান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

উপবৃত্তি সংক্রান্ত জটিলতা ও করোনার আঘাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার বাড়ছিল। ২০২১ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ‘বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারি’ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২১ সালে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার এক লাফে ৩ শতাংশ কমে গেছে। ঝরে পড়ার এই হার কমার জন্য শিক্ষকরা কৃতিত্ব দিচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি প্রদানের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা কার্যক্রমকে।

বিতরণ পদ্ধতির অস্বচ্ছতা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে বন্ধই রাখা হয়েছিল এ কার্যক্রম। প্রায় এক বছর উপবৃত্তি বিতরণ বন্ধ থাকার পর ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে নগদের সঙ্গে চুক্তি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তিন পর্যায়ের তথ্য মিলিয়ে সঠিক ডেটাবেইস তৈরির কারণে এই ক্ষেত্রে সাফল্য মিলেছে। তবে একটি গোষ্ঠী বিভ্রান্তি তৈরিতে সক্রিয় আছে উল্লেখ করে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টার।

এনিয়ে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো অনেকের মধ্যে কনফিউশন কাজ করছে। এই সুযোগ নিয়ে একটি গোষ্ঠী অনেকের আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলে নিয়েছে। ফলে অনেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে তাড়াহুড়া করে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। কিন্তু টাকা নগদের মাধ্যমে যাচ্ছে, নগদেই যাবে। কিন্তু মানুষকে বিভ্রান্ত করে এই সহজ একটা পন্থায় বাধা প্রদান করা হচ্ছে।

উপবৃত্তির অর্থ সরাসরি যাচ্ছে, শিক্ষার্থীর মায়ের মোবাইল অ্যাকাউন্টে। এতে নারীদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতারণা বন্ধে কঠোর হতে হবে উল্লেখ করে সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা নিয়ে নিয়েছে। জনগণ যাতে প্রতারিত না হয় এই ধরনের কর্মকাণ্ড যাতে না হয় তার জন্য এসব ক্ষেত্রে তড়িৎ পদক্ষেপ নেয়া গেলেই ভালো হবে।

কয়েক মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ২৫ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীর জন্য সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বেশি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ অর্থ প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় প্রকল্পের কার্যকারিতাও অনেক বলে মনে করেন অভিভাবকরা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply