ইসরায়েলি বর্বরতায় স্তব্ধ পশ্চিম তীর

|

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম থেকে সংগৃহীত ছবি।

ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় আতঙ্কের অঞ্চলে পরিণত হয়েছে দখলকৃত পশ্চিম তীর। রাত হলেই অধিকৃত অঞ্চলটিতে তল্লাশি অভিযানের নামে চলে গণগ্রেফতার। কেউ কেউ দু’তিনদিনের অত্যাচা্র-নিপীড়ন সহ্য করে ফিরে আসলেও, অনেকেরই লাশ মেলে রাস্তার ধারে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

পশ্চিম তীরে রাত মানেই যেনো আতঙ্ক। সূর্য ডোবার পরপরই তল্লাশীর নামে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। আটকের নামে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপরাধ ফিলিস্তিনিদের। এরপরই লাশ মেলে তাদের। অনেককে আবার ঘটনাস্থলেই হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদেরই একজন সালাহ সাওয়াফতা। তল্লাশী অভিযানের নামে গুলি করে হত্যা করা হয় এ বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে। সেই দৃশ্যই সম্প্রতি ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়।

নিহত সালাহ’র ভাই জিহাদ সাওয়াফতা বলেন, আমার ভাই কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে জড়িত নয়। এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো না। সে খুবই নিরীহ ধরনের মানুষ ছিলো। অথচ তাকেই বাড়িতে এসে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

চলতি বছরের শুরু থেকেই পশ্চিম তীরে তল্লাশী অভিযান জোরদার করে ইসরায়েল। তেল আবিবের দাবি, ইসরায়েলিদের ওপর রকেট হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্তদের খোঁজেই চলে তল্লাশী। অথচ এসব অভিযানে এখন পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে ৮৫ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে।

ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিশ্লেষক আমির আভিভি বলেন, গত বছর ইসরায়েলে ৩ হাজারের বেশি হামলা করা হয়েছে। যাতে প্রাণ গেছে ১৪ ইসরায়েলির। তারই প্রেক্ষিতে এ তল্লাশী অভিযান চালানো হয়েছে।

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, হতাহতের প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ। হত্যার পর বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি সম্পর্কে মেলে না কোনো তথ্যও।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply