বৃষ্টিতে নাকাল কুড়িগ্রাম পৌরবাসী, কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় হতাশ

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কুড়িগ্রাম:

একটু বৃষ্টিপাতেই নাকাল হতে হচ্ছে কুড়িগ্রাম পৌরবাসীকে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা এবং পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় পৌরবাসীদের। বছরের পর বছর এমন ভোগান্তি পোহালেও বরাদ্দের অজুহাতে মিলছে না পরিত্রাণ। ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলে দুর্ভোগ যেন রীতিমতো রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকায় মানুষের মাঝে বাড়ছে আক্ষেপ।

বুধবার (৩১ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টির পানিতে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সদর খাদ্য গোডাউন, পরীক্ষণ বিদ্যালয়, আরডিআরএস ও টেরেডেস হোমস, শিশু নিকেতনসহ বহু সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দুই থেকে আড়াই ফুট পানির নিচে। এছাড়াও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সাথে যোগাযোগের সড়ক গুলোর মধ্যে আদর্শ পৌর বাজার, হাটিরপাড়, গাড়িয়াল পাড়া, পূর্ব হাসপাতাল (রৌমারী পাড়া), সূর্যের হাসি ক্লিনিক, এলজিইডি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব পাশ, কলেজ মোড় হতে জেলা প্রশাসক সড়ক ও খলিলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে যায়।

এসব এলাকার সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে রোগী, শিক্ষার্থী কিংবা অফিস-আদালতে সেবা নিতে আসা মানুষজনকে পড়তে হয় নানা ধরনের দুর্ভোগে। পানির নিচে থাকা এসব এলাকার সড়কগুলো সংস্কার ও প্রশস্ত না করায় খানাখন্দে ভরে গেছে। ফলে চলাচল অনুপযোগী এসব সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল, সাইকেল, রিক্সা চলাচলে দুর্ঘটনা দৈনন্দিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ও ডাস্টবিনের ব্যবস্থা না থাকায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে পৌরবাসী।

হাটিরপাড় এলাকার বাসিন্দা ইকবাল হাসান বলেন, ঠিকভাবে কর, ভ্যাট এগুলো দিলেও নিম্নমানের সেবাও আমরা পাই না। একটু বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি হয় পড়তে হয় শতশত মানুষকে। এই এলাকায় কোনো ডাস্টবিন নেই। এতে এখানকার বাসিন্দা সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে।

গ্রাম থেকে আসা রোগীর স্বজন বুলবুলি আকতার বলেন, হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তা যে পরিমাণ খারাপ তা বলার মতো নয়। একটা অসুস্থ রোগীকে বাইরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা করতে নিয়ে গেলে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে রাস্তার কারণে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আলতাবুর রহমান বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমরা দুর্ভোগে পড়ি। বের হওয়ার একমাত্র মূল গেটটি থাকে এক হাঁটু পানির নিচে। লুঙ্গি ছাড়া ইউনিফর্ম পড়ে বের হওয়ার সুযোগ থাকে না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের বর্ষাকালে এভাবে কষ্ট করে চলতে হয়।

পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, সরকারি বরাদ্দ না থাকায় আমরা পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিতে পারছি না। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত জলাবদ্ধতা এবং রাস্তার সমাধান হবে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply