মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
১৫আগস্ট স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ড কারবালার চাইতেও নির্মম বলে মন্তব্য করেছেন মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত চিফ সিকিউরিটি অফিসার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা কারবালার চাইতেও নির্মম। ক্ষমতা দখল করার জন্য জাতির জনককে হত্যা করা হলো মানলাম। সেখানে বঙ্গমাতাকে কেন হত্যা করা হবে? রাসেলকে কেন হত্যা করতে হবে?
বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে জেলার টঙ্গীবাড়িতে জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সোনারং টঙ্গীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে উপজেলা মাঠে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন লিটন মাঝির সভাপতিত্বে এতে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৬ হাজার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে স্থান দিয়েছেন, মানচিত্র সৃষ্টি করেছে। খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে লাভ হবে না। বঙ্গবন্ধুর কোনো উত্তরাধিকার বাংলার মাটিতে যদি থাকে বাঙালি জাতিকে আবার জাগ্রতের মাধ্যমে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করবে। জাতির অধিকার আদায় করবে। সে অবস্থা যেন না থাকে সে লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখন ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসলো আমাদের কোনো নেতাকর্মী বাড়িতে ঘুমাতে পারে নাই। বাড়ি ঘর ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্ত আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় তখন বিএনপির একজনের গায়েও আমরা হাতে দেইনি। তারা সবাই সমভাবে বিচরণ করছে। তবে তার মানে এই না আমরা দুর্বল। বিএনপির দুষ্কৃতকারীদের স্মরণ করে দিতে চাই, বাংলার বুক থেকে বিএনপি যারা আছে তাদের উৎখাত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।
স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহানা তাহমিনা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রাহাতখান রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানী শান্ত, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ উপ-কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান সরদার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মানিক মিয়া বাচ্চু।
/এনএএস
Leave a reply