ঢাকায় ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই: বিআইপি

|

রাজধানীর আবাসন, যোগাযোগ, শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। বেশ কয়েকবার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) করা হলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় দিন দিন বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে ঢাকা। এবার মহানগর এলাকার জন্য ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তাতে জনঘনত্ব কমিয়ে ব্লকভিত্তিক আবাসন পদ্ধতি অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সড়ক, নৌ ও রেলপথ সমন্বয়ের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এলাকাভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল স্থাপন হলে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।

নতুন ড্যাপে ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প ও উন্মুক্ত স্থান সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্ল্যানার্স টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলনে নগর পরিকল্পনাবিদরা তাদের মত তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) উপদেষ্টা পরিষদের আহ্বায়ক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, এ ড্যাপের ডকুমেন্টেসে বলা আছে, ২০ কাঠা বা তারও অধিক, তিন একর জায়গা হলে যে রকম ৪০ শতাংশ জায়গা ছেড়ে দিতে হবে, সে জায়গাটা উন্মুক্ত স্থান হিসেবে সমর্পণ করতে হবে। শুধু ওই প্লটের লোক না, আশপাশের লোকও খেলার জায়গা হিসেবে তা ব্যবহার করতে পারবে।

বিআইপির সভাপতি ফজলে রেজা সুমন বলেন, আমরা শুধু রাজউক নিয়ে আইন করবো নাকি পুরো বাংলাদেশ নিয়ে করবো, তা আমরা ভাবছি কিনা। এত লোকের দেশ, এত অল্প জায়গায় আইন লাগবেই।

নতুন ড্যাপ নিয়ে আশাবাদের পাশাপাশি আছে বেশ কিছু সমালোচনাও। বিআইপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, একটা প্ল্যানিং চ্যালেঞ্জ থাকবে। অনেকেই দেখবে, রাজউকের সাথে আস্থার একটা সংকট আছে।

বিআইপির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শওকত আলী খান বলেন, রাজউকের মতো একটি প্রতিষ্ঠান এ ধরনের একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একবারেই যোগ্য অবস্থায় নাই। কেন নেই? তাদের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারনী যে বোর্ডটি আছে, বেশিরভাগই আমলাতান্ত্রিক। যারা কিছুদিনের জন্য আসে। আবার চলে যায় অন্য একটা মন্ত্রণালয়ে।

নগর পরিকল্পনাবিদরা বলেন, ড্যাপ বাস্তবায়নে সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। রয়েছে সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতাও। যদিও এই সমন্বয়হীতা দূর করার জন্য এখনও নেয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply