বান্দরবানে মিয়ানমারের গোলাবর্ষণের ঘটনায় ব্যাখ্যা চেয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো-কে ফের তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) তাকে তলব করে এ ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২টি যুদ্ধ বিমান এবং ২টি ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে ৩০-৩৫ রাউন্ড গুলি এবং ৮ থেকে ১০টি গোলা নিক্ষেপ করা হয় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকায়। এছাড়াও ১নং ওয়ার্ডের তুমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্তে ৪ রাউন্ড ভারী অস্ত্রের ফায়ার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। এদিন সকালে ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্ত এলাকায় হেলিকপ্টার টহল দিতে দেখা যায়।
এ সময় বেশকিছু গুলিবর্ষণ ও গোলা নিক্ষেপের শব্দ শুনতে পায় বলে জানায় স্থানীয়রা। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তারা। তবে বান্দরবান পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্তক অবস্থায় রয়েছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং উত্তেজনার ঘটনা মিয়ানমারের সীমান্তের মধ্যেই ঘটেছে। স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলা দেশের সীমান্তে এসে পড়ার মতো ঘটনা ঘটলো। গত রোববারও (২৮ জুলাই) মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল বান্দরবান সীমান্তের ঘুমধুম এলাকার জনবসতিতে এসে পড়ে। সেগুলো অবিস্ফোরিত থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার পরদিন সোমবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা।
এসজেড/
Leave a reply