রাঙামাটি প্রতিনিধি:
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের আলোচিত-সমালোচিত শিক্ষক মো. এজাবুর আলমকে ভোলা পলিটেকনিক্যালে বদলি করা হয়েছে। এর আগে, ইনস্টিটিউটে পড়ুয়া ছাত্রীদের যৌন হয়রানির দায়ে অভিযোগে আলোচনায় আসেন সিভিল উড বিভাগের জুনিয়র ইনস্ট্রাকটর মো. এজাবুর আলম।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পিআইডব্লিউ) সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মো. এজাবুর আলমকে বদলীর আদেশ দেয়া হয়।
অভিযুক্ত এজাবুর আলম এর আগে বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এর সভিল বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে ফেসবুকের ইনবক্সে ও সরাসরি ফোনে যৌন নিপীড়ন ও আপত্তিকর কথাবার্তার মাধ্যমে হয়রানি এবং কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ আসে। যার প্রেক্ষিতে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ সংক্রান্ত সংবাদ যমুনা নিউজসহ বেশ কয়েকটি গণামাধ্যমে প্রচারিত হয়।
বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন হাওলাদার জানান, এ ঘটনায় ইনস্টিটিউটের তদন্ত কমিটির দেয়া তদন্ত রিপোর্টটি কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানোর পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত শিক্ষক মো. এজাবুর আলমকে ভোলায় বদলীর আদেশ দেয়া হয়। সেই সাথে অত্র প্রতিষ্ঠান থেকেও তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। বর্তমানে বিএসপিআই ক্যাম্পাস স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে আন্দোলনরত ৫১তম ব্যাচ (মেকানিক্যাল) এর ছাত্র মাহফুজুর রহমান মুঠোফোনে যমুনা নিউজকে জানান, বিষয়টি শুনে আমরা খুব হতাশ হয়েছি। এ ঘটনায় এজাবুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা এবং মন্ত্রণালয় থেকে সিন্ধান্ত দেয়া হবে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন। কিন্তু আজ তার বদলীর আদেশ আসলো। এতে আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি, আমরা অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তি চেয়েছিলাম।
/এসএইচ
Leave a reply