ইতিহাসের এক অনবদ্য সাক্ষী ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

ব্রিটিশ রাজ সিংহাসনে ক্ষমতার ৭০ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক এবং দীর্ঘমেয়াদী শাসক। মাত্র ২৫ বছর বয়সে মুকুট মাথায় ওঠে রানি ২য় এলিজাবেথের। বৈশ্বিক রাজনীতির অজস্র পটপরিবর্তনের সাক্ষী রানি এলিজাবেথ দেখেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। প্রত্যক্ষ করেছেন- সুয়েজ খাল, স্নায়ুযুদ্ধ আর জঙ্গিবাদের মতো বৈশ্বিক সংকট। ঐতিহাসিক কর্মময় জীবনে শুধু ব্রিটেনই নয়; কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজ্যিল্যান্ডসহ কমনওয়েলথভুক্ত ১৫টি দেশের রানি ছিলেন তিনি। ইতিহাসের এই অনবদ্য সাক্ষী থামলেন ৯৬ বছর বয়সে; আর তাতে যেন থমকে দাঁড়ালো ইতিহাসও।

বাবা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এলিজাবেথ বসেন ব্রিটিশ সিংহাসনে। তখন তার বয়স মাত্র ২৫ বছর। টানা সাত দশকের বেশি সময় গ্রেট ব্রিটেনের দায়িত্বে থাকার রেকর্ড আর কারও নেই। শুধু তাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক শাসক হওয়ার রেকর্ডও তার। এর আগে ১৮৩৭ থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া।

দীর্ঘ সাত দশকের শাসনামলে বহু পট পরিবর্তন দেখেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, হয়েছেন বহু ইতিহাসের সাক্ষী। তার সময়ে, ব্রিটেন দেখেছে ১৬জন প্রধানমন্ত্রী। দুদিন আগেই নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস দেখা করেন রানির সাথে। এরমধ্যে, হোয়াইট হাউজে এসেছেন ১৩ জন প্রেসিডেন্ট। শুধু ব্রিটেনেরই নয়, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজ্যিল্যান্ডের মতো ১৫টি দেশের রানি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সেসব দেশে সরকার প্রধান থাকলেও বিশেষ সম্মানেই রাখা হয় তাকে।

এই সুদীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকাকালে এলিজাবেথ দেখেছেন বৈশ্বিক রাজনীতির পট পরিবর্তন। তার চোখের সামনেই সৃষ্টি হয়েছে ৯০টির বেশি দেশ। আয়ারল্যান্ড নিয়ে বিবাদ, সুয়েজ খাল নিয়ে উত্তেজনা কিংবা স্নায়ুযুদ্ধ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক জঙ্গিবাদ ও ব্রেক্সিটের মতো অসংখ্য ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে চলমান রুশ-ইউক্রেন লড়াইয়ের মতো বৈশ্বিক পরিস্থিতি পাল্টে দেয়া বড় বড় ৬টি যুদ্ধও দেখেছেন তিনি।

চলতি বছরই রানীর ক্ষমতায় আরোহনের প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপিত হয়। উৎসবে মাতোয়ারা হয় ব্রিটেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এলিজাবেথ নিজে উপস্থিত থেকে উপভোগ করেন সেসব আয়োজন।

গত বছর স্বামী প্রিন্স ফিলিপকে হারান রানী এলিজাবেথ। এরপর থেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply