রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক

|

ছবি: সংগৃহীত

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশিষ্টজনেরা। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও আছেন।

রানির শাসনাধীন কমনওয়েলথভুক্ত ১৫টি রাষ্ট্রে অর্ধনমিত রাখা হয়েছে ব্রিটেন ও সেই দেশের জাতীয় পতাকা। ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয় শোক। দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতিতে গভীর শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষও। বিশ্বের কয়েকটি দেশে গণতন্ত্রের পাশাপাশি এখনো রয়েছে রাজতন্ত্র। সেই রাজা-রানিরাও প্রকাশ করেছেন গভীর শ্রদ্ধা। জানিয়েছেন- বিশ্বের জন্য দ্বিতীয় এলিজাবেথ অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব; তার দীর্ঘ শাসন ব্যবস্থার কথাও তুলে ধরেন তারা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাস পরিদর্শন করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্টলেডি। সেখানে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন তারা। একই সাথে ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সমবেদনা জানান।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৪০ বছর আগে রানির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন। বাইডেন বলেন, তিনি রানির চেয়েও বড় কিছু ছিলেন। তিনি নিজেই একটি যুগের জন্ম দিয়েছেন। গত বছর যুক্তরাজ্য সফরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাইডেন বলেন, বুদ্ধি দিয়ে তিনি আমাদের মুগ্ধ করেছেন, উদারতা দিয়ে আমাদের চালিত করেছেন এবং তার প্রজ্ঞা উদারভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করেছেন।

স্পেনের রাজা ফিলিপ বলেন, রানি এলিজাবেথ তার সম্মান-দায়িত্ববোধ-সাহসিকতা এবং প্রতিশ্রুতির জন্য বরাবর থাকবেন মানুষের হৃদয়ে। আজ তার প্রয়াণে শুধু ব্রিটেন নয়, গোটা বিশ্ব শোকাচ্ছন্ন। স্প্যানিশদের পক্ষ থেকে রাজা তৃতীয় চার্লস এবং রাজপরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

এক আবেগঘন শোকবার্তায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, রানির প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাগ্রস্ত। কেননা দ্বিতীয় এলিজাবেথ কানাডারও রানি ছিলেন। দেশবাসীর প্রতি ছিল তার গভীর মমতা ও ভালোবাসা। আজকের বৈচিত্র্যময়-আশাবাদী-দায়িত্বশীল-উচ্চাকাঙ্ক্ষী কানাডা গড়ে তোলার পেছনেও তার ভূমিকা নজিরবিহীন। তার শাসনক্ষমতার দ্বাদশ প্রধানমন্ত্রী আমি; ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। কারণ রানি ছিলেন জ্ঞানী-অভিজ্ঞ ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন আর একজন অভিভাবক।

রানির প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে কোমল হৃদয়ের অধিকারী হিসেবে আখ্যা দিয়ে ফ্রান্সের একজন বন্ধু হিসেবে স্মরণ করেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কয়েকবার রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পুতিন একবার রানিকে ১৪ মিনিট অপেক্ষায় রেখেছিলেন বলেও খবর শোনা যায়। মায়ের মৃত্যুতে প্রিন্স চার্লসের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। হাঁটাচলা ও দাঁড়িয়ে থাকতে তার সমস্যা হচ্ছিল। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলে অবস্থানকালে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মারা যান বলে ঘোষণা দেয় বাকিংহাম প্যালেস। মৃত্যুর খবর শুনে ক্যাসলের বাইরে ফুল দিয়ে রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: রানি এলিজাবেথের সঙ্গে প্রিন্সেস ডায়ানার সম্পর্ক কেমন ছিল?
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply