আখাউড়া সীমান্তপথে আনা হয়েছে অননুমোদিত শ্বেত পাথরের মূর্তি 

|

আখাউড়া প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তপথে ভারত থেকে আনা হয়েছে শ্বেত পাথরের মূর্তি।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভারত থেকে আগরতলা বন্দর হয়ে মূর্তি বহনকারী পিকআপ ভ্যান ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তের শূন্যরেখায় আসে। এ সময় শূন্যরেখায় গাড়ি বদল করে বাংলাদেশি ট্রাকে করে মূর্তিটি নিয়ে আখাউড়া কাস্টমস হয়ে বন্দরে প্রবেশ করে। শ্বেত পাথরের তৈরি মা আনন্দময়ী মূর্তিটি ৩০০ কেজি ওজনের বলে জানা গেছে।

তবে মূর্তি আনার অনুমতি না থাকায় আখাউড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মূর্তিটি (ডিএম) আটক করে এবং কঠোর নিরাপত্তায় মূর্তিটি বন্দর গুডাউনে রাখা হয়। মূর্তিটি ভারত থেকে আমদানি করেছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি।

আখাউড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এ ধরনের মূর্তি আমদানি করার অনুমতি নেই। বিষয়টি এনবিআর কে অবিহিত করা হয়েছে। এনবিআর এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পেলে সংশ্লিষ্টরা ওই মূর্তি নিতে আর কোনো বাধা থাকবে না।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, ভারত থেকে মূর্তিটি উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে। আখাউড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মূর্তিটি আটক করে কিছু ডকুমেন্টস চেয়েছেন। মূর্তিটি ছাড়পত্রের জন্য তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআরসহ কাস্টমস সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন।

আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক ( ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম যমুনা টেলিভিশনকে জানান, কাঠের বাক্সে বন্দি শ্বেত পাথরের ৩০০ কেজি ওজনের একটি মূর্তি ৫ সেপ্টেম্বর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জব্দ করে বন্দর গোডাউনে রেখেছেন। তা কঠোর নিরাপত্তায় সেখানে রক্ষিত আছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, যেহেতু মূর্তি আমদানির অনুমতি নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেলে আমদানি শুল্ক পরিশোধ করে ওই মূর্তি নিতে কোনো বাধা থাকবে না।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply