এবার বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনও হচ্ছে আরটিজিএসে

|

দেশীয় মুদ্রার পর এবার বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনও চলছে রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট, আরটিজিএস পদ্ধতিতে। আরটিজিএস সার্ভিস হল ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম যেখানে টাকা বা সিকিউরিটিজ এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাংকে রিয়েল টাইম এবং গ্রস ভিত্তিতে স্থানান্তরিত হয়। এটি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দ্রুততর অর্থ স্থানান্তর ব্যবস্থা। এখন এ পদ্ধতিতে মুহূর্তেই সম্পন্ন হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন। ব্যাংকাররা বলছেন, এর ফলে সময় এবং জটিলতা কমে আসায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ হবে, খরচও কমবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, তাৎক্ষণিকভাবে লেনদেন সম্ভব হওয়ায় গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়ছে। প্রধান শাখার এডি ব্রাঞ্চও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করতে পারবে। ৫টি মুদ্রা দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও পরবর্তীকালে এ সংখ্যা বাড়বে।

আরটিজিএসে দেশীয় মুদ্রার লেনদেন শুরু হয় ২০১৫ সালে। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতি চালুর ফলে লেনেদেন সম্পন্ন হচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে, যা আগে ২ থেকে ৩ দিনে হতো। বর্তমানে আরটিজিসে দৈনিক গড়ে ৩৫ হাজারের বেশি লেনদেন হচ্ছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি।

লেনদেন সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এবার বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে শুরু করেছে আরটিজিএসে। প্রাথমিকভাবে ইউএস ডলার, ইউরো পাউন্ডসহ ৫টি মুদ্রার লেনদেন হচ্ছে এই পদ্ধতিতে। দ্রুতই যুক্ত হবে চীনের মুদ্রা। এ পদ্ধতি চালুর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন অনেক সহজ হয়েছে বলে জানান এসবিএসি ব্যাংকের এমডি মসলেহ উদ্দিন আহমেদ।

তাৎক্ষণিকভাবে লেনদেনে সম্পন্ন করতে পারায় এ পদ্ধতিতে লেনদেনের পরিমাণ বাড়ছে। প্রথম দিনে ৫২টি লেনদেন হলেও সপ্তাহের শেষদিনে লেনদেন হয় ৬৪৮টি। ৫ দিনের ব্যবধানে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে প্রায় দশগুণ। সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম মনে করেন, এর ফলে দেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলছেন, এ পদ্ধতির ফলে আন্তঃব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন সহজ হবে। ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি পেমেন্টেরও সুবিধা পাবেন ব্যবসায়ীরা।

বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে নীতিমালা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিটি লেনদেনে সর্বোচ্চ একশ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply