সংসদে প্রধানমন্ত্রীর পাশেই বসতেন তিনি

|

চলে গেলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। গতকাল রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে সিএমএইচ এ মারা যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

আজ সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মরদেহ নেয়া হবে নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরে। সেখানে হবে দ্বিতীয় জানাজা। বিকালে আবার ঢাকায় ফিরিয়ে মরদেহ দাফন হবে বনানী কবরস্থানে। ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিগত তিনটি সংসদে প্রধানমন্ত্রীর পাশেই বসতেন তিনি। নবম ও দশম সংসদে দায়িত্ব পালন করছেন উপনেতা হিসেবে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে একাদশ জাতীয় সংসদে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তবে দিনশেষে প্রধানমন্ত্রী আস্থা রাখেন সৈয়দ সাজেদা চৌধুরীর ওপরই। অথচ আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন এই মানুষটিকে শুধু জাতীয় সংসদে নয় রাজনৈতিক মাঠেও আর কেউ কোনোদিন পাশে পাবে না।

গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ৯ সেপ্টেম্বর রাতে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকে ভর্তি করা হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। সেখানেই রোববার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পরই হাসপাতালে ছুটে যান তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা।

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ৭ বছর পর থেকেই দলটির সঙ্গে যুক্ত হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৬৯ থেকে ৭৫ সময়ে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পঁচাত্তর পরবর্তী কঠিন সময়ে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ৭১ এর এই বীরসেনানী।

১৯৮৬ সালে দল তাকে পূর্ণ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়। ছয় বছর সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন শেষে ৯২ সালে তাকে দেয়া হয় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যের মর্যাদা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কেরও গুরু দায়িত্বও পালন করেন বঙ্গবন্ধুর এ ঘনিষ্ঠ সহচর।

তিন ছেলে ও এক মেয়ের জননী সাজেদা চৌধুরী ফরিদপুর-২ আসন থেকে একাধিবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০০ সালে আমিরিকান বায়োগ্রাফিকাল ইনস্টিটিউট কতৃক ওমেন অব দ্যা ইয়ার নির্বাচিত হন তিনি। ২০১০ সালে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা পুরষ্কারেও ভূষিত করা হয় তাকে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply