ইউক্রেন সাফল্য দাবি করার পরদিনই খারকিভে মারাত্মক হামলা রাশিয়ার

|

২০০তম দিনে গড়ালো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সাফল্য ঘোষণার একদিনের ব্যবধানে খারকিভ অঞ্চলে মারাত্মক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। একগুচ্ছ মিসাইলের আঘাতে জ্বলছে সেখানকার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর ফলে শহর ও আশপাশের প্রায় ৯০ লাখ বাসিন্দা অন্ধকারে নিমজ্জিত। রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনে এখনও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি, সেটা জানান দিতেই সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে এ পরিস্থিতিতেও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিলেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি।

রাতের অন্ধকারে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে মারাত্মক হামলা চালালো রাশিয়া। মিসাইল ছুড়ে ধ্বংস করা হয়েছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। কেটে দিয়েছে পানি সরবরাহের মূল লাইনও। প্রশাসন দ্রুত উদ্যোগ নিলেও, শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

অথচ মাত্র একদিন আগেই রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অঞ্চলটিতে বড় সাফল্য এসেছে, এমন ঘোষণা দেয় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খোদ প্রেসিডেন্টই জানান, দখলমুক্ত করা হয়েছে ৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা। তিনি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আজ ২০০তম দিন। স্বাধীনতা-মুক্তি-জাতীয় ঐক্যের জন্য আমরা লড়ে যাচ্ছি। সম্প্রতি, খারকিভে এসেছে সবচেয়ে বড় সাফল্য। তাছাড়া, ধ্বংস করা হয়েছে শত্রুপক্ষের দুই হাজারের বেশি ট্যাংক, সাড়ে ৪ হাজার যুদ্ধযান, হাজারের বেশি আর্টিলারি সিস্টেম, দেড় হাজারের মতো উড়োযান, ১৫টি যুদ্ধজাহাজ। জানি, জয়ের পথ দীর্ঘ এবং কষ্টকর। কিন্তু হাল ছাড়া যাবে না।

এই অবস্থায় কালবিলম্ব না করে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। কোনো রাখঢাক না করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনে এখনও কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। সেকারণেই খারকিভ অঞ্চলে মিসাইল ও গোলাবারুদ ছুড়ে নতুনভাবে অভিযান শুরু হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চালানো সাম্প্রতিক হামলায় বিদ্যুৎহীন গোটা অঞ্চল। তাছাড়া, ইউক্রেনীয় বাহিনীর ২০টি সামরিক ইউনিট ধ্বংস হয়েছে এই হামলায়। পাশাপাশি, প্রাণ হারিয়েছেন আড়াই শতাধিক সেনাসদস্য। ভস্মীভূত বেশকিছু সাঁজোয়া যান, আর্টিলারি সিস্টেম এবং রকেট লঞ্চার।

রোববার রাতে ইউক্রেনের ১৫টি এলাকায় অভিযান চালায় রুশ সেনাবহর। যার ব্যাপ্তি ছিল পূর্বাঞ্চলীয় ক্রামাতোরস্ক থেকে শুরু করে দক্ষিণের মাইকোলাইভ পর্যন্ত। মিসাইল হামলায় গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে শতাধিক স্থাপনা। নাইপারেও ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে পুতিন-বাহিনী।

/ডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply