হত্যার পর পুকুরে ফেলা হয় স্কুলছাত্রীকে: পুলিশ

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

স্কুলছাত্রী সিপা আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যার পর পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন সিপার বাবা শাহীনূর ইসলামের দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবির।

হুমায়ূন কবির বলেন, স্কুল শিক্ষার্থী সিপার মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমাদের হাতে এসে এখনো পৌঁছেনি। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিপার মাথার পেছনে গভীর আঘাত রয়েছে। এতে ধারণা করা যায় তাকে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পর আটক করা হয় গৃহশিক্ষক মো. বাইজিদ সরকারকে। ঘটনার পরদিন সিপার বাবা শাহীনূর ইসলাম সদর মডেল থানায় বাইজিদকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আদালতে বাইজিদকে রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আশা করছি তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। সিপাকে কে হত্যা করেছে তা তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে বলে প্রত্যাশা করছি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ আগস্ট দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বোডিংয়ের মাঠ পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় আশিকা জাহান সিপার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শাহীনূর ইসলামের মেয়ে। সে তারা পরিবারসহ জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করতো। সিপার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো তার প্রাইভেট শিক্ষক মো. বাইজিদ সরকারের।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply