এক ধরনের চাল রফতানিতে শুল্ক বাড়িয়েছে ভারত, দেশে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম

|

কয়েকদিন স্থিতিশীল থাকার পর আবার অস্থির চালের বাজার। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্যবৃদ্ধির নেপথ্যে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুরনো সিন্ডিকেট। শুধুমাত্র এক ধরনের চাল রফতানিতে শুল্ক বাড়িয়েছে ভারত, অথচ দেশে সব চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে মিলাররা। চিহ্নিত ৮/১০ জনই কলকাঠি নাড়ছেন বলে দাবি চট্টগ্রামের পাইকারদের।

আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারসহ সরকারের নানা উদ্যোগে, গেলো দুই সপ্তাহ ধরে কমতির দিকে ছিল চালের বাজার। প্রতি ৫০ কেজি বস্তায় দাম কমেছিল আড়াইশো থেকে ৩শ টাকা পর্যন্ত। তবে গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ভারত সরকার আতপ চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের খবরে বাজার আবারও ঊর্ধ্বমুখী। চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে চালের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারে কাটারি, জিরাশাইল, নাজিরশাইল ছাড়া, বেড়েছে মাঝারি মানের সব ধরনের চালের দাম।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ২০ ধরনের আতপ চালের চাহিদা বেশি। ভারত থেকে আমদানি হয় শুধুমাত্র বেতি, যার চাহিদাও অল্প। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এক চালে শুল্ক আরোপ হলো, কিন্তু সব চালের দাম বাড়ালো কে? বেতি আপতের পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানি হয়, নুরজাহান ব্র্যান্ডের সিদ্ধ মোটা চালও। রফতানি শুল্ক আরোপের পর বাজার থেকে উধাও এই চাল। চলছে দেশি চালের কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টাও।

পাইকারদের দাবি, এলসি থেকে শুরু করে দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন নওগাঁ, কুষ্টিয়া এবং বগুড়ার ৮ থেকে ১০ জন মিল মালিক। এবারও কলকাঠি নাড়ছেন তারাই।

দেশে আতপ চালের চাহিদা রয়েছে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম এবং সিলেটের কিছু এলাকায়। যা মোট চালের চাহিদার একেবারে সামান্য।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply