মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা মানুষ। কমেছে নদ নদীর পানি। লোকালয় থেকে পানি নামলেও নিম্নাঞ্চলে এখনও অনেক বাড়িঘরে রয়েছে পানি।
এদিকে পানি কমলেও দুর্ভোগ কমছেনা মানুষের। পানি যত নামছে রাস্তাঘাট-ঘরবাড়িতে জলকাদায় বাড়াচ্ছে দুর্ভোগ। পানি বাহিত বিভিন্ন রোগব্যাধির শঙ্কায় ৭৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান সিভিল সার্জন মো. আবু জাহের।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, মনু নদ ও ধলাই নদীর ২৫টি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার ৩০টি ইউনিয়ন ছাড়া কমলগঞ্জ ও মৌলভীবাজার পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ হাজার পরিবারের দুই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ২ হাজার ৯শ ৬০ হেক্টর আউস ধান।
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন সড়কে অন্তত ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার স্থানে বন্যার পানি আঘাত করেছে তবে পানি না নামলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ সম্ভব হবেনা। তিনি জানান, মৌলভীবাজার- শমসের নগর- চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন সড়কটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে চাতলা শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে।
তিন দশকের ভয়াবহ এই পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী এদের মধ্যে শুধু কমলগঞ্জ উপজেলায় মারা যান ৫ জন।
গত ১২ জুন থেকে শুরু হওয়া প্লাবনে ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় প্রায় দশ হাজার মানুষ। আটকা পড়া দুর্গত মানুষদের উদ্ধার ও সহায়তা করছে সেনাবাহিনীর ৪টি দল, পুলিশ বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি। এসময় তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
Leave a reply