বেসরকারি খাতে সাবমেরিন ক্যাবল; আমদানি নির্ভরতা কমাতে চায় সরকার

|

একদিকে ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথের চাহিদা পূরণ। অন্যদিকে ব্যান্ডউইথের ওপর আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চায় সরকার। সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়ামে বেসরকারি উদ্যোক্তারা সংযুক্ত হলে বছরে ২৪ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন প্রযুক্তিবিদরা। দেশের ব্যান্ডউইথ চাহিদার অর্ধেকটা পূরণ হচ্ছে রাষ্ট্রায়াত্ত দুই সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে। আর বাকিটা ভারত থকে আমদানি করা হয়।

ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বেসরকারি খাতে সাবমেরিন ক্যাবলের লাইসেন্স দিয়েছে সরকার। বর্তমানে রাষ্ট্রায়াত্ত দুইটি সাবমেরিন ক্যাবলের প্রথমটির মেয়াদ দুই বছর পর শেষ হচ্ছে। দ্বিতীয়টির মেয়াদ থাকলেও ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথ চাহিদার কারণে কার্যক্ষমতা শেষ হবে আরও আগেই।

প্রযুক্তিবিদ আমিনুল হাকিম জানান, ২০২৬ সালে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল অর্থাৎ সি-মি-উই সিক্স কনসোর্টিয়ামে সংযুক্ত হওয়ার আগে ২০২৪ ও ২৫ সালে বিপুল পরিমাণ ব্যান্ডউইথ ঘাটতির আশঙ্কা আছে।

সাবমেরিন ক্যাবলের সেবা প্রদানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বেসরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি কিংবা ২৪ এর শুরুতে অপারেশন চালু করতে চায় তারা। এরইমধ্যে ভারত, জাপান ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক সম্ভাব্য তিনটি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, ২০২৪ সালের পর ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানির নির্ভরতা কমবে। প্রতিবছর সাশ্রয় হবে ২৪ মিলিয়ন ডলার।

শুধুমাত্র ব্যান্ডউইথ ঘাটতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা নয়। বরং তা বিতরণ ও সরবরাহ প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা; জানিয়েছেন আইএসপিএবি এর সভাপতি ইমদাদুল হক। তৃণমূল পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহে সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়ামে যুক্ত হয় বাংলাদেশ।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply