একের পর এক নানা অভিযোগ উঠছে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে। কমিটির সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানা আর সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিরের বিরুদ্ধে প্রতারণা, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। এবার কমিটির সভাপতি রানার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। সেই ভিডিওতে এক নারীর সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায় একজন পুরুষকে। অনেকের দাবি, পুরুষটি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানা নিজে। কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের আরেক নারীকর্মীর সাথেও রানার কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়। চার মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ওই অডিওতে একজন কর্মীকে ভালো পদ দেয়ার প্রলোভন দেখান ছাত্রলীগ সভাপতি। বিনিময়ে এক নারীকে তার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া চাকরি দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ায় রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আদালতে। গত ২৫ আগস্ট রাতে নগরীর ঘোষপাড়ায় মদ্যপ অবস্থায় মাতলামি করায় গণপিটুনিরও শিকার হন রানা ও তার আরেক সহযোগী।
জানা গেছে, ছাত্রলীগে আসার আগে ছাত্রদল করতেন রানা। এটি নিশ্চিত করেছে সেই কমিটির দায়িত্বে থাকা একাধিক ছাত্রদল নেতা। তবে এসব ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি রানা। তার দাবি, আইটি স্পেশালিস্ট দ্বারা তার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।
একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমির বিরুদ্ধেও মাদক সেবন, প্রতারণা, হোস্টেলে এসি ব্যবহার ও কর্মীদের নির্যাতনের মতো নানা অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তা নিয়ে যমুনা টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচারের পর থেকে একের পর এক অভিযোগ বেরিয়ে আসতে শুরু করে।
ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, রানা ও অমির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার বিকল্প নেই। রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক বলেন, খুবই সতর্কতার সাথে এবং খুবই কঠোরভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর সাথে যারা জড়িত তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।
রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সাতদিনে তদন্ত শেষে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে কমিটির উপর।
এসজেড/
Leave a reply