নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। ১৯ বছর আগে, ২০০৩ সালে পুরুষ দল চ্যাম্পিয়ন হবার ১৯ বছর পর আবারও এই সম্মান ফিরে পেলো বাংলাদেশ। কৃষ্ণার জোড়া গোলের সাথে শামসুন্নাহার জুনিয়রের লক্ষ্যভেদে এই ফাইনালের আগে একটিও গোল হজম না করা নেপালকে হারিয়ে দেশকে এই গৌরব এনে দিলেন গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।
কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বপ্নের ফাইনালে শুরুতেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শক্তিশালী নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের ১৩ মিনিটেই শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে লিড পায় সাবিনা-সানজিদাদের দল। এক গোলে পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে নেপাল। কিন্তু প্রতি আক্রমণে ম্যাচের চেহারা অনেকটাই পাল্টে দিলেন কৃষ্ণা। নেপালের অর্ধে দারুণ ইন্টারসেপশনের পর সাবিনার বাড়ানো পাস থেকে ম্যাচের ৪১ মিনিটে ডি বক্সের বামপ্রান্তে বল পেয়ে বাম পায়ের দুর্দান্ত শটে বল জালে জড়ান এই ফুটবলার। আর এতেই যেন দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামের ‘মেক্সিকান ওয়েভ’ মুহূর্তেই রূপ নেয় শ্মশানে। ২ গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।
২ গোলের পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করেই একের পর এক আক্রমণ শানায় নেপাল। এক পর্যায়ে ম্যাচে ফিরেও আসে তারা। আনিতা বাসনেতের লক্ষ্যভেদে ১ গোল শোধ করে নেপাল। ম্যাচের ৬৯ মিনিটের মাথায় ডি বক্সের ডানপ্রান্তে আনিতার জোরালো শট বাংলাদেশের জালে জড়ালে খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে যায় অনেকগুণ।
আর এরপরই নিচু ব্লকের রক্ষণের কাজ থেকে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে সাবিনা-কৃষ্ণারা। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে দারুণ এক প্লেসিং শটে নেপালের জালে বল জড়িয়ে বাংলাদেশের জয়কে হাতের নাগালে নিয়ে আসেন এই ফুটবলার। বাকি সময় নিরাপদেই পার করে মেয়েরা। আর এর মাধ্যমেই সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট অপরাজিত থেকেই মাথায় পরে বাংলাদেশ।
সাফের ষষ্ঠ আসরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেললো বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৬ সালে শিলিগুড়িতে স্বাগতিক ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরে শিরোপার হাতছাড়া করে। আজ সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিয়েছে মেয়েরা। পুরো আসরে ২৩ গোল করার বিপরীতে মাত্র ১ গোল হজমের রেকর্ডও বলবে, সেই আক্ষেপ এর চেয়ে আর ভালোভাবে ঘোচানো যেতই না!
/এম ই
Leave a reply