কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে এবার আর লেখা হয়নি বিষাদের কোনো গল্প। ১৬ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে হিমালয় কন্যার দেশে স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাস লিখলো সাবিনা-সানজিদারা। ভারতের পর বাংলাদেশ এখন নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের সিংহাসনে আসীন। আর পুরো আসরে ৮ গোল করে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। এরচেয়েও বড় যে পুরস্কার, সেই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন সাবিনা।
ফাইনালে কোনো গোল না পেলেও করেছেন অ্যাসিস্ট। এক গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় নেপালের অর্ধে দারুণ ইন্টারসেপশনের পর সাবিনার বাড়ানো পাস থেকেই ম্যাচের ৪১ মিনিটে ডি বক্সের বামপ্রান্তে বল পেয়ে বাম পায়ের দুর্দান্ত শটে বল জালে জড়ান কৃষ্ণা রানি সরকার। এই টুর্নামেন্টেরও অনেক আগে থেকে পুরো দলকে টেনে নিয়েছেন সাবিনা। ঠিক একইভাবে দুর্দান্ত পারফরমেন্সে দলকে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসালেন এই ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক’।
ফাইনাল পর্যন্ত সাবিনা খাতুন দুই হ্যাটট্রিকে করেছেন ৮ গোল। প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে সাবিনার ছিল দুই গোল। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬-০ গোলের বিশাল জয়ে হ্যাটট্রিক করেন সাবিনা। তারপর সেমিফাইনালের বড় আসরে সাবিনা আবারও করেন হ্যাটট্রিক। তার দারুণ পারফরমেন্সের উপর দাঁড়িয়েই ভুটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। আর ফাইনালে তো নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে হিমালয় জয় করলো বাংলাদেশ। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা সাবিনাই তার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ার রানি এখন বাংলাদেশ
/এম ই
Leave a reply