আধাঘণ্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় বরিশাল নগরীর বেশিরভাগ সড়ক

|

দিন যত যাচ্ছে, বরিশাল নগরীতে ততই প্রকট হচ্ছে জলাবদ্ধতার সমস্যা। এই জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ খাল ও পুকুর ভরাট। ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারিভাবেও ভরাট হচ্ছে জলাশয়। কেউ শুনছে না কারো কথা। জলাশয় ভরাট বন্ধে সিটি কর্পোরেশন সোচ্চার হলেও দায়িত্বশীল অন্যরা নিশ্চুপ।

মাত্র ৩০ মিনিট বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় নগরীর বেশিরভাগ সড়ক। পানি ঢুকে পড়ে বসতবাড়িতেও। বৃষ্টি থেমে গেলেও পানি নামতে না পারায় তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। কখনো কখনো বৃষ্টির পানি নামতে সপ্তাহ পেরিয়ে যায়। ভোগান্তি বাড়ে নগরবাসীর।

পরিবেশবাদী রফিকুল আলম বলছেন, বৃষ্টি বা জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার মাধ্যম খাল ও ড্রেন। নগরীতে জালের মত ছড়িয়ে থাকা ২৩টি খালের ২০টিই ভরাট আর প্রভাবশালীদের দখলে। বাকি ৩টিও মৃত প্রায়। ড্রেনগুলোও নির্মান করা হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে।

জলাশয় ভরাটের ফলে দীর্ঘ হচ্ছে জলাবদ্ধতা। তবুও বন্ধ হচ্ছে না ভরাট। আমানতগঞ্জ এলাকায় ভবন নির্মাণের জন্য দিঘি ভরাট করছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। তবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর দাবি, জলাশয় ভরাট বন্ধে একাই লড়ে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন।

এক সময় নগরীতে ১০ হাজার পুকুর ও দিঘী ছিল, তবে ইতোমধ্যে তার ৯০ শতাংশই ভরাট করে ফেলা হয়েছে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply