সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
বাড়িতে বসে সাফ জয়ী মেয়ে ডিফেন্ডার মাছুরা পারভীনকে টিভিতে দেখতে পাবো কোনোদিন স্বপ্নেও ভাবিনি। এটা আল্লাহ্ পাকের বিশেষ দান। তার রহমত ছাড়া আমার মতো মানুষ এটা আশা করতে পারে না। সাতক্ষীরা শহরের বিনেরপোতা এলাকায় বাড়িতে বসে মেয়েকে টিভিতে দেখার সময় এমন অনুভূতি ব্যক্ত করেন ভ্যানচালক বাবা রজব আলী।
রজব আলী তিন মেয়ে ও স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে নিয়ে রাস্তার পাশে সরকারের দেয়া আট শতক জমির ওপর বসবাস করছেন। ফুটবলার মাছুরা পারভীন পরিবারের বড় মেয়ে।
মাছুরা পারভীনসহ নারী ফুটবল দল নেপাল থেকে দেশে ফিরেছে দুপুরে। ফুটবল দলকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেয়া হয়েছে বিমানবন্দরে। সেখান থেকে ছাদখোলা বাসে নেয়া হয়েছে বাফুফে ভবনে। এসব ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার চলছে নিউজ চ্যানেলগুলোতে। বাড়িতে বসে মা ফাতেমা বেগম ও বাবা রজব আলী সরাসরি দেখছেন নারী দলসহ নিজের মেয়েকে।
আনন্দের এমন অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না জানিয়ে রজব আলী বলেন, আমার মতো মানুষের মেয়েকে গোটা দেশবাসী আজ দেখছে। ফুল দিচ্ছে, শুভেচ্ছা জানাচ্ছে, এর থেকে বড় পাওয়া আমার আর কিছু হতে পারে না। গর্বে আমার বুকটা ভরে যাচ্ছে।
মা ফাতেমা বেগম বাড়ির যাবতীয় কাজ করছেন আর মাঝেমধ্যে ছুটে আসছেন টিভির সামনে দেখছেন মেয়েকে। কখন মেয়েকে এক পলক দেখায় টিভির পর্দায় সেই অপেক্ষা করছেন তিনি। মেজো বোন সুরাইয়া ও ছোট বোন সুমাইয়া পারভীনের চোখও টিভির পর্দায়।
মাছুরা পারভীনের মা ফাতেমা বেগম বলেন, কত মানুষ আজেবাজে কথা বলেছে তার ঠিক নেই। আজ সেই মেয়ের দিকে তাকিয়ে সবাই। আনন্দে আমরা বুকটা ভরে যাচ্ছে। ভাষায় কী বলবো বুঝতে পারছি না।
এদিকে, সারাদিনই মিডিয়াকর্মীদের ভিড় লেগেছিল ভ্যানচালক রজব আলীর বাড়িতে। কষ্টে থাকার কথাগুলো শুনছেন মিডিয়াকর্মীরা। তুলে ধরছেন দেশবাসীর সামনে।
রজব আলী বলেন, আমার বাড়িতে সাংবাদিকরা আসবে এটা আমার ভাগ্যের ব্যাপার। আমার ভাগ্য ভালো মেয়েটা সোনার মতো মেয়ে হয়েছে। মেয়েটার কারণেই আজ আমার বাড়িতে অনেক নামীদামি মানুষেরা আসছে, খোঁজখবর নিচ্ছে। মেয়েটার জন্য মনটা খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কখন বাড়িতে আসবে। মনে হচ্ছে এখনই বাড়িতে আসলে ভালো লাগতো।
এটিএম/
Leave a reply