বাইশে শ্রাবণ আজ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৬ তম প্রয়াণ দিবস। ৭৫ বছর আগে ইংরেজি ১৯৪১ সালের ৬ই আগস্ট বাংলা ১৩৪৮ সনের এইদিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরলোকগমন করেছিলেন।
বাঙালির জীবনের প্রতিটি ক্ষণেই যেন রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি। বিশেষ করে তাঁর গানে প্রকাশ পায় হাস্য-বিষাদ, চাওয়া- না চাওয়া, পাওয়া- না পাওয়ার নানা অনুভূতি। প্রতি পরতেই যেন নতুন করে আবির্ভূত হন কবিগুরু। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যেন আশ্রয় খুঁজে পায় তাঁর গানে।
রবীন্দ্রনাথ, বাঙালি ও বাংলাকে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করেন বিশ্ব দরবারে। একাধারে কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, চিত্রকর, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, দার্শনিক; তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রভাব রেখে চলেছে তার গান।
শিশু মনে রাজার মানসিকতার বীজ, গানেই আত্মবিশ্বাস ও জাতিগত বৈশিষ্ট্যের বার্তা দিয়েছেন কবি। তাঁরই এভাবে বলার কথা, কেউ নেই তো কী হয়েছে? ফলবান বৃক্ষ কী আর কখনও থেমে থাকে? এখনও অসংখ্য মানুষ সত্যিকারের প্রেমের আবেদন খুঁজে পান শুধুই কবিগুরুর গানে। তাঁর গানে প্রিয় মাতৃভূমিকে পাওয়া যায় কখনও মা, কখনওবা প্রেয়সী রুপে।
অনেক গানেই বলেছেন নিজেকে সঁপে দেয়ার কথা। বারবার তুলেছেন দেহের ক্ষুদ্রত্বের কথা। ঘুরে ফিরে হারিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন গানে গানে। শ্রাবণের আমন্ত্রণেই চলে যান- না ফেরার দেশে। দুই হাজার ২৩০ টি গানে, জীবনের প্রায় প্রতিটি অনুভূতিই প্রকাশ করে গেছেন রবীন্দ্রনাথ।
বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্য সঙ্কলন প্রকাশিত হয়েছে। তার ১৯১৫টি গান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে গীতবিতানে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
Leave a reply